আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে তোমার দু’চোখে তবু ভূরুতার হিম। রাত্রিময় আকাশের মিলনান্ত নীলে ছোট এই পৃথিবীকে করোছো অসীম। বেদনা মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না তুমিই প্রতীক বুঝি এই পৃথিবীর আবার কখনও ভাবি অপার্থিব কিনা। সারাদিন পৃথিবীকে সূর্যের মতন দুপুর-দগ্ধ পায়ে করি পরিক্রমা, তারপর সায়াহ্নের মতো বিস্মরণ- জীবনকে সি’র […]
তুমি
চতুরের ভূমিকা
কিছু উপমার ফুল নিতে হবে নিরুপমা দেবী যদিও নামের মধ্যে বেখেছেন আসল উপমা ক্ষণিক প্রশ্রয়-তুষ্টি চায় আজ সামান্য এ কবি, রবীন্দ্রনাথেরও আপনি চপলতা করেছেন ক্ষমা। যদিও প্রত্যহ আসে অগণিত সুঠাম যুবক নানা উপহার আনে সময় সাগর থেকে তুলে আমি তো আনি নি কিছু চম্পা কিংবা কুর্চি কুরুবক সাজাতে চেয়েছি শুধু স্পর্শহীন উপমার ফুলে। আকাশে অনেক […]
সত্যবদ্ধ অভিমান
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ? শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায় তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে নীরার সুষমা চোখে ও ভুরুতে মেশা হাসি, নাকি অভ্রবিন্দু ? তখন সে যুবতীকে খুকি বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়– আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ […]
পাওয়া
অন্ধকারে তোমার হাত ছুঁয়ে যা পেয়েছি, সেইটুকুই তো পাওয়া যেন হঠাৎ নদীর প্রান্তে এসে এক আঁজলা জল মাথায় ছুঁইয়ে যাওয়া।
চে গুয়েভারার প্রতি
চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয় আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে, বুকের ভেতরটা ফাঁকা আত্মায় অভিশ্রান্ত বৃষ্টিপতনের শব্দ শৈশব থেকে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাস চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়- বোলিভিয়ার জঙ্গলে নীল প্যান্টালুন পরা তোমার ছিন্নভিন্ন শরীর তোমার খোলা বুকের মধ্যখান দিয়ে নেমে গেছে শুকনো রক্তের রেখা চোখ দুটি চেয়ে আছে সেই দৃষ্টি এক […]
শরীর অশরীরী
কেউ শরীরবাদী বলে আমায় ভর্ৎসনা করলে, তখনই ইচ্ছে হয় অভিমানে অশরীরী হয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাই। আবার কেউ ‘অশরীরী’ শব্দটি উচ্চারন করলে আমি কান্নার মতন ভয় পেয়ে তীব্র কন্ঠে বলি, শরীর, তুমি কোথায়? লুকিও না এসো, তোমাকে একটু ছুঁই! এই রকমই জীবন ও মানুষের হাঁটা চলার ভাষা- সুতরাং ‘ভাষা’ শব্দটি কারুর মুখে শুনলে মনে হয় পৃথিবীর […]
শব্দ
বালি ঝুমকো, হলুদ নাভি, শূন্য হাস্য রূপালি ফল, নীল মিছিল, চিড়িক চক্ষু… চিড়িক না সুখ? চিড়িক শব্দে ঢ্যাঁড়া বসালুম রূপালি ফল, না রূপালি উরুত? দ্রিদিম জ্যোৎস্না লিখে ভয় হয় দ্রিদিম না স্মৃতি? জ্যোৎস্না না জল? অথবা সাগর? দ্রিতিম সাগর? ঠিক ঠিক ঠিক! নিরুপদ্রব। শূন্য হাস্য কুনকি কাফেলা, হাতেম তামস, শালু পালু লুস তামস? আবার ভুলের […]
মানে আছে
আচমকা স্রোতের পাশে হেলে পড়া কম বৃক্ষটি এরও কোনো মানে আছে। নির্জন মাঠের পোড়োবাড়ি- হা হা করে ভাঙা পাল্লা এরও কোনো মানে আছে? ঠিক স্বপ্ন নয়- মাঝে মাঝে চৈতন্যের প্রদোষে সন্ধ্যায় শিরশিরে অনুভূতি কি যেন ছিল বা আছে অথবা যা দেখা যায় না দুরস্ত পশুর মতো ছুটে আসে বিমূঢ়তা জানলার পর্দাটা দোলে, থেমে যায়, দুলে […]
ভালোবাসা
ভালোবাসা নয় স্তনের ওপরে দাঁত? ভালোবাসা শুধু শ্রাবণের হা-হুতাশ? ভালোবাসা বুঝি হৃদয় সমীপে আঁচ? ভালোবাসা মানে রক্ত চেটেছে বাঘ! ভালোবাসা ছিল ঝর্ণার পাশে একা সেতু নেই আকাশে পারাপার ভালাবাসা ছিল সোনালি ফসলে হওয়া ভালোবাসা ছিল ট্রেন লাইনের রোদ। শরীর ফুরোয় ঘামে ভেসে যায় বুক অপর বহুতে মাথা রেখে আসে ঘুম ঘুমের ভিতরে বারবার বলি আমি […]
বাড়ি ফেরা
রাত্তির সাড়ে বারোটায় বৃষ্টি, দুপুরে অত্যন্ত শুক্নো এবং ঝক্্ঝকে ছিল পথ, মেঘ থেকে কাদা ঝরেছে, খুবই দুঃখিত মূর্তি একা হেঁটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে, কালো ভিজে চুপচাপ দ্বিধায় ট্রাম বাস বন্ধ, রিক্সা ট্যাক্সি-পকেটে নেই, পৃথিবী তল্লাসী হয়ে গেছে পরশুদিন পুলিশের হাতে শাস্তি এখন, অথবা নির্জনতাই প্রধান অস্ত্র এই বুধবার রাত্তিরে। অনেক মোটরকারের শব্দ হয় না, ঘুমন্ত […]