মেধাবী নাবিক তুমি

রচুর চোখের জল, মগজেও মাতাল জাহাজ, বেহেড বাতাস খুব পরামর্শ দিয়ে বেসামাল করতে চাইছে এই কলমের নিবটিকে আজ- এর মধ্যে কোথায় শব্দের মাল্লা ওড়াবে যে পাল? তবু কি নিস্তার আছে? অচিরেই উঠবে যে ঝড় সে বিষয়ে আমি ছাড়া কে আর নাবিক এই স্থলে? কবেই উৎসন্ন গ্রাম, কলেরায়- বসন্ত তৎপর তদুপরি! ডাকে দূর সমুদ্রটি কলকলকলে। অতএব […]

এখন দূরে ডাকছে কেউ

তোমার যদি ঘুম পেয়েছে, ঘুমোতে যাও তুমি আমার নেই বিছানা, নেই ঘর। তারার নিচে এখন চিৎ আমার জন্মভূমি চতুর্দিকে ক্রন্দনের স্বর। এখন চাঁদ অন্নহীনের শূন্য কাঁসার থাল আছাড় দেয় আলো মাটির ‘পর। আমার চোখে ঘুম আসে না, নদীর পানি লাল হাড়ের মতো শাদা নদীর চর। এখন দূরে ডাকছে কেউ, পাথার ভেঙে আসে ও কার এত […]

ম্যান্ডেলা! ম্যান্ডেলা!

আফ্রিকার জেব্রার পাল খুরে খুরে দুন্দুভি দুবদাব তুলে ঝলসিত সাভানার প্রান্তর দিয়ে ছুটে আসছে, চিরে যাচ্ছে শতাব্দীর কালো নীরবতা, মানবের প্রথম ধনুক ওই দিগন্ত, তাকে জ্যা-নিবদ্ধ করে নিনাদ উঠছে ওই—জেব্রাপালের পায়ে দুবদাব— ম্যান্ডেলা! ম্যান্ডেলা! আর সেই একদিন, আমার এ রক্তাক্ত ব-দ্বীপের ওপর দিয়ে স্রোতের মতো বহে যায় যে বজ্রকণ্ঠ— আজও আমাকে জাগ্রত করে রাখে। বলীবর্দের […]

সবার দেশ

বিচার যদি করতে চাও ঝড়তি এবং পড়তি কে? খবর তবে দিতেই হলো বিনয় চক্রবর্তীকে। লোকটা বুঝি সংখ্যালঘু? বিদ্যেতে সে লঘু নয়। সার্টিফিকেট দিচ্ছি লিখে। মনঃপূত তবু নয়? বেশ তো ডাকো সাইমনকে- চলন বলন মিষ্ট, পালন করেন বলেন যাহা প্রভু যিশু খ্রিস্ট। তাকেও না? তাকেও না! -তোমরা তুলো ধুয়া। সর্বশেষ ডাকছি তবে সরোজ বড়ুয়া। নাড়ছ মাথা […]

সবুজ রৌদ্রের এই পিপাসাই

দীর্ঘ দীর্ঘ দিন। বড় দীর্ঘ- আমি স্বস্তিহীন। খ্রিস্টের বৎসর যদি পার হয়ে যায়, রক্ত তার এখনো ঝরায়- এখনো এ পৃথিবীতে মানুষ ক্রুশেও! অগ্নি ছোটে হাওয়ায় হাওয়ায়। ক্রমেই নিজের থুতু তার কাছে হতে থাকে পেয়- এখনো মাটিকে লাথি যার সমীচীন। আমি নতজানু এই রক্তাক্ত মাটিতে। চৌচির এ বুকে তৃষ্ণা- দীর্ঘ জাগরণ- আর এই প্রার্থনা এখন আবার […]

ইতিহাস যদি ফের

ও কাকে দেখছি আমি বেরিয়েছে? পিঠে তার ব্যাগ, ব্যাগের ভেতরে রুটি, আতাফল, জরুরি ওষুধ হঠাৎ কামড়ায় যদি মন্দকাল শেয়ালের খ্যাঁক, ছিপিআঁটা কোমল পানীয় তার তেজালো বুদ্বুদ! সাইকেল? নাকি যাবে পায়ে হেঁটে? অথবা বেলুন! বাহন কী হবে তার অমাবস্যা অতিবাহনের? যাত্রাশেষে অন্নের ব্যঞ্জনে শুধু পাবে পোড়া নুন? এ কেমন কাল এলো এই দেশে এতটা ঘুমের? তাই […]

জগন্নাথ হল

দুলে উঠছে ফুলের অজস্র পতাকা উধাও ছাত্রদের মাঠে ঘাসের বেয়োনেটগুলো আকাশের দিকে স্থির পাশেই ছিন্ন একটা স্তনের বোঁটা মুখে সমস্ত নিস্তব্ধতায় দীর্ঘ ছায়া ফেলে সৈনিক সূর্যাস্তের প্রতিফলন তার দাঁতে

আমিও জীবনভর

মাঝে মাঝে থমকানো ভালো! ফুলের বিষণ্ন টব বিদ্যুৎ চমকালো! আজ রাতে ইস্টিশানে দেরী করে এসেছিলো ট্রেন মালগাড়ি। পাদানিতে যাত্রী কতিপয় বাকি সব পাট তিসি এনামেল হাঁড়ি! মাঝে মাঝে উঠে যাওয়া ভালো এইসব মালের গাড়িতে- যেতে হয়!- যেতে যাওয়া একটিই- নিজের বাড়িতে! টব থেকে ফুল আর বস্তা থেকে তিসি ধান পাট ঝরে পড়ে, পড়ে থাকে মধ্যরাতে […]

ভালোবাসার দিনে

রাতের অন্ধকার এখন আমার ছবি আঁকার ক্যানভাস । তোমার চোখের আলো আমার রঙ । একদিন তোমাকে যে ছুঁয়েছি সেই আঙুল আমার তুলি এখন । আমি তোমার ঘুমের ছবি আঁকছি । তুমি নিলীন হয়ে শুয়ে আছো এখন আমার ছবির ভেতরে। এই ঘুম থেকে তোমাকে আমি জাগবো না । অস্থির পৃথিবী থেকে তুলে এনে ভালবাসার দু’হাতে তোমাকে […]

এই ভালো এই তবে ভালো

তোমার সময় যদি সদাশয় হে ঈশ্বর হয় আমাদের ঘরে এসো একবার দু’এক মিনিট। লাবণ্যের চুল আজও সুবাসিত তেলে গন্ধময়— যদিও দালান ভাঙা, কী নির্মল হাসে ন্যাংটো ইট। তবুও যখন তুমি পূর্ণিমার চাঁদ তুলে ধরো, যখন মাখিয়ে দাও পৃথিবীর আননে মাখন— তখন যদিও শ্বাস বন্ধপ্রায়, প্রাণ মরো-মরো, আমার মাটির থালা হয়ে ওঠে সোনার বাসন, ভরে যায় […]