অনুবাদ: সুভাষ মুখোপাধ্যায়
গালে-কালো- তিল সেই সুন্দরী
স্বহস্তে ছুঁলে হৃদয় আমার,
বোখারা তো ছার, সমরখন্দ ও
খুশি হয়ে তাকে দেব উপহার ।
স্বর্গে যা নেই, আমি যেন পাই
হে সাকি, বানাও এমন বিধান,
রুকনাবাদের নদীর কিনার,
মুসল্লার সে ফুলের বাগান ।
খন্ডিত এই প্রেম দিয়ে আমি
পারি না বাঁধতে সে অপরূপাকে ;
রং তিল চুল – কিছুই কিছু না
যদি লাবণ্য চোখেমুখে থাকে ।
দিনে দিনে ইউসুফের যে রূপ
বাড়ছে চন্দ্রকলার সমান
সতীসাধ্বীর পর্দা সরিয়ে
জুলেখাকে দেবে সবলে সে টান ।
গানে আর মদে জমাও আড্ডা
ভবরহস্য হাতড়ে কী লাভ ?
বুদ্ধির পথে চললে কখন ও
পাবে না কেউ এ ধাঁধার জবাব ।
কান দাও, প্রিয়া, আমার কথায় :
ঘা দিয়ে যতইশেখাক জীবন,
নওজোয়ানেরা জানে, তার চেয়ে
ঢের বেশি দামী প্রাজ্ঞবচন ।
আকথা-কুকথা বলেছ অনেক
তবু কোনো ক্ষোভ রাখি নি কো প্রানে ;
তুমি ঠিকই কলো : বিম্বাধরের
কটু কথাটাও মিঠে লাগে কানে ।
বানিয়েছ তুমি এমন গজল
কথা দিয়ে গাঁথা মুক্তোর হার,
হাফিজ, তোমার ছত্রে ছত্রে
যেন ঝিকিমিকি তারার বাহার।।