রুমালখানি ফেলে এলাম দূর বনে, গাছের দুঃখ
মুছিয়ে দিতে
আমার কথা মনে আছে বোকা হরিণ?
পাগলী মেয়ে কেউ কখনো এই প্রবাসে বৃষ্টি ভেজে?
তুমি এখন ঘুমাতে যাও
বকুল তোমার বিষণ্নতা খালি চোখে দাঁড়িয়ে দেখি
চশমার এই কালো ফ্রেমে এত শিশির কখন জমে
শিশির নাকি বিষাদ অশ্রু, সবই ধু-ধু বিস্মরণে
ভূবিদ্যা পড়ার মতো জাদুঘরবা কোথায় পাবে,
ট্রেন চলে যায়, তখনো এই রুমাল একা পড়ে থাকে।
স্বপ্নের ভেতরে আমি পার হয়ে যাই সাত কুঠুরি
শিল্পের চতুর্থ ভাগে দেখি স্তব্ধ নীরবতা,
ঘুমের মধ্যে কুড়াই আমি রাশি রাশি সোনাদানা
ভাঙা ডানার, ফড়িং দুটি তবু দিব্যি উড়ে বেড়ায়
একেই বলে আদিমন্ত্র, বলে ভিন্ন শিল্পকলা
এই বনে কি কাঠুরিয়া ফেলে গেছে সোনার কুঠার
কে দেখেছে বনের মাঝে এই রহস্য, ঘুরে বেড়ায় ব্যালোরিনা
আমার এই রুমাল ভালো আবার সোনার কুঠার কেন
এসব ফেলে মগ্ন হয়ে চিঠি লিখি বাতাস তোমায়।