বিষণ্ন কাকের মতো শীতের হলুদ পাতা ভেজা রাদে,
ঘুমিয়ে পড়েছে;
আমি তার ঘ্রাণ নিয়ে চলে যাই সুনসান হৃদে
তখন বেজেছে ঘণ্টা দূরে কোনো বধির ইস্কুলে,
কে সেখানে পাঠ করে শীতের লেখা আত্মজীবনী
যেদিকে তাকাই দেখি আপাদমস্তক ঢাকা পাথরের বাড়ি।
এখানে শীতের কোনো সাড়ম্বর আয়োজন নেই
মাত্র একখানা শ্বেতবস্ত্রে প্রকৃতি ঢেকেছে
তার উদোম শরীর,
এরকম শীতপট মনে হয় কোনো এক অসমাপ্ত
নদীর কাহিনী
লোকনাট্য, বিমোহিত সার্কাস অপেরা
সেখানে দাঁড়িয়ে আছে মুগ্ধ কোনো নিঃশব্দ পথিক।
শহরের নিস্তব্ধ সড়কে কবে আমি ঝুলিয়েছি
বর্ষা ও শীতের এই যুগল কবিতা,
এই আদিমন্ত্র সব, কামসূত্র, স্থবির উষ্ণতা
এমন প্রগাঢ় শীত মৃত ওষ্ঠে চুম্বনের মতো;
তবু সেই ক্ষণস্থায়ী সুখে মানুষ ভুলেছে এই ঝর্নার
অনন্ত সৌরভ,
ভুলেছে বিশুদ্ধ মুখ যদিও কখনও তার কুকুরের মতো
শুদ্ধ কামশক্তি নেই,
তবু শীতে কতো কোটিবর্ষ মানুষ কেঁদেছে।