বহুক্রোশ হাঁটা পথিকের মতো আর জাগে না
জলের তৃষ্ণা,
মাঝে মাঝে শুধু একটু গলা ভেজানোর ইচ্ছা হয়;
কিন্তু তখন কী সে তৃষ্ণা, ইচ্ছা করে শুষে নিই
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা
অাঁজলা ভরে খেতে চাই পৃথিবীর
সব নদী সমুদ্রের জল
মনে হয় তাতেও মিটবে না তৃষ্ণা, নিষেধ
অমান্য করে নেমে যাই মৃত্যু সরোবরে,
এমন কোথায় সে আকুল তৃষ্ণা,
সেই জলপানের আনন্দ
অবিরাম আষাঢ়ে ভেজার সুখ।
এখন বুঝি না আর গলা কাঠ হয়ে যাওয়ার সেই তৃষ্ণা
পাই না এখন প্রবল তৃষ্ণায় সেই ঢকঢক জলপানের প্রশান্তি।
এখন কেবল এই আধা গেলাসের মাপা জলে তৃষ্ণা মেটাই
নেই সেই অবগাহনের তৃষ্ণা,
এখন কেবল আছে দীর্ঘশ্বাস, এই ক্ষয়,
পুড়ে যাওয়া।