নৈঃশব্দে কাটুক প্রহর…
নির্বাক হয়ে মুখ থুবরে পড়ে থাকুক সব অবাঞ্চিত আশারা…
আমি পথ চেয়ে থাকি…শুধু বিরামহীন ঝরে পড়া বৃষ্টির মুখের পানে চেয়ে…তুমি আসবে-ই…
একটু একটু করে কাটবে প্রহর!
ধীরে ধীরে কাটবে অমানিশা!
কাটবে দ্বিধা…সংশয়!
ভীষন অন্ধকার আকাশের আধাঁরের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে গেঁথে থাকা তারার মতো!
একদিন তুমি ফুটবেই!
পূর্ণিমাতে ভেসে যাক শহর কিংবা
অমাবস্যার আঁধারে ডুবে যাক দৃশ্যমান পৃথিবীর আচঁল!
আমি জানি…তুমি ঠিক ঠিক-ই আসবে!
ঠিক যেমন অবধারিতভাবে সকাল আসে…
এই পৃথিবীর সকল জীবের
অব্যক্ত সকল ক্লান্তি আর কষ্ট দূর করে দিয়ে!
নির্ঘুম রাত্রির পাহারায়! অচল প্রহরীর মতো!
আর কেঊ না জানুক…
শুধু আমরা দুজন জানি…
কত রাত কাটীয়েছি জেগে জেগে!
রাতের আধাঁরের সাথে নির্বাক কথা বলে!
কত দিন বৃষ্টিতে বাড়িয়ে দিয়েছি দুই হাত!
আর কেউ না জানুক…
আমরা দুজন জানি—
বৃষ্টির ফোঁটায় মিশে ছিল আমাদের অভিমান…
দূরত্ব কে জয় করতে পারিনি বলে!
আমার আনন্দটুকু আমি বৃষ্টির জলের সাথে ভাগ করে নিয়েছি…
শুধু-ই তোমার কথা ভেবে!
হাঁটতে হাঁটতে কখনো ক্লান্ত হয়ে গেলে!
ভেবে নিয়েছি তুমি আছো পাশে-ই!
ছায়ার মতন!
আর কেউ না জানুক আমরা দুজন তো জানি…
এইভাবে কতো সহস্র বছর ধরে আমরা
পাশাপাশি হেঁটে চলেছি…
কতো নির্মল বিকেলে, বৃষ্টিতে ভিজেছি…
ঘন্টার পর ঘন্টা…
বৃষ্টীর শীতলতার নিষ্ঠুর পরশে
কখনো কখনো কুকঁড়ে গিয়েছিল কোমল হাতের আঙ্গুল!
রক্তহীন সাদা অবয়বের মতো পা !
তবু –ভুল করেও নড়িনি
দু-হাতে আকঁড়ে ধরেছহি নাগরিক বারান্দার বেড়ী!
আর কেঊ না জানুক—
আমরা দুজন তো জানি—
পৃথিবীর সম্পূর্ণ দু-ই প্রান্তে থাকা দুটো মানুষের হাত প্রসারিত হয়েছে—
উন্মুক্ত আকশে—
ঝরে পড়া বৃষ্টির তীক্ষ্ণ তীর্যক ফোটাঁর প্রচন্ড অবাধ্যতায়…
শুধু-ই ভালোবাসার ঈন্দ্রজালে আবদ্ধ হবো বলে…
শুধু-ই আমাদের প্রতীক্ষার ধুসর ঘুড়ির সূতোটা…
কেটে ঐ বিশাল মেঘহীন নীল আকাশে
ঊড়িয়ে দেবো বলে…
২০।০৬।১১
রাত ১১-১১।৪০ মিনিট।