শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা, শুধু আলো-আঁধারে কাঁদা-হাসা ॥ শুধু দেখা পাওয়া, শুধু ছুঁয়ে যাওয়া, শুধু দূরে যেতে যেতে কেঁদে চাওয়া, শুধু নব দুরাশায় আগে চ’লে যায়– পিছে ফেলে যায় মিছে আশা ॥ অশেষ বাসনা লয়ে ভাঙা বল, প্রাণপণ কাজে পায় ভাঙা ফল, ভাঙা তরী ধ’রে ভাসে পারাবারে, ভাব কেঁদে মরে– ভাঙা ভাষা। […]
শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা
চক্ষে আমার তৃষ্ণা
চক্ষে আমার তৃষ্ণা, ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে। আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন, সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে॥ ঝড় উঠেছে তপ্ত হাওয়ায়, মনকে সুদূর শূন্যে ধাওয়ায়– অবগুণ্ঠন যায় যে উড়ে॥ যে-ফুল কানন করত আলো কালো হয়ে সে শুকাল। ঝরনারে কে দিল বাধা– নিষ্ঠুর পাষাণে বাঁধা দুঃখের শিখরচূড়ে॥ রাগ: বৃন্দাবনী সারং-আড়ানা তাল: ঝাঁপতাল রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ভাদ্র, ১৩৪৪ রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1938 স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর chokkhe amar […]
বাজিল কাহার বীণা মধুর স্বরে
বাজিল কাহার বীণা মধুর স্বরে আমার নিভৃত নব জীবন-‘পরে প্রভাতকমলসম ফুটিল হৃদয় মম কার দুটি নিরুপম চরণ-তরে॥ জেগে উঠে সব শোভা, সব মাধুরী, পলকে পলকে হিয়া পুলকে পূরি। কোথা হতে সমীরণ আনে নব জাগরণ, পরানের আবরণ মোচন করে॥ লাগে বুকে সুখে দুখে কত যে ব্যথা, কেমনে বুঝায়ে কব না জানি কথা। আমার বাসনা আজি ত্রিভুবনে […]
হাসি কেন নাই ও নয়নে
হাসি কেন নাই ও নয়নে! ভ্রমিতেছ মলিন-আননে। দেখো, সখী, আঁখি তুলি ফুলগুলি ফুটেছে কাননে॥ তোমারে মলিন দেখি ফুলেরা কাঁদিছে সখী শুধাইছে বনলতা কত কথা আকুল বচনে॥ এসো সখী, এসো হেথা, একটি কহো গো কথা– বলো, সখী, কার লাগি পাইয়াছ মনোব্যথা। বলো, সখী, মন তোর আছে ভোর কাহার স্বপনে॥ রাগ: মিশ্র কাফি তাল: কাহারবা রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1288 রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1881 hasi-kano-naye-o-naone
হায় কে দিবে আর সান্ত্বনা
হায় কে দিবে আর সান্ত্বনা। সকলে গিয়েছে হে, তুমি যেয়ো না– চাহো প্রসন্ন নয়নে, প্রভু, দীন অধীন জনে ॥ চারি দিকে চাই, হেরি না কাহারে। কেন গেলে ফেলে একেলা আঁধারে– হেরো হে শূন্য ভুবন মম ॥ hai-ke-dibe-ar-santona
আমারে দিই তোমার হাতে
আমারে দিই তোমার হাতে নূতন ক’রে নূতন প্রাতে ॥ দিনে দিনেই ফুল যে ফোটে, তেমনি করেই ফুটে ওঠে জীবন তোমার আঙিনাতে নূতন ক’রে নূতন প্রাতে ॥ বিচ্ছেদেরই ছন্দে লয়ে মিলন ওঠে নবীন হয়ে। আলো-অন্ধকারের তীরে হারায়ে পাই ফিরে ফিরে, দেখা আমার তোমার সাথে নূতন ক’রে নূতন প্রাতে ॥ রাগ: ভৈরবী তাল: তেওরা রচনাকাল […]
আমি যাব না গো অমনি চলে
আমি যাব না গো অমনি চলে। মালা তোমার দেব গলে॥ অনেক সুখে অনেক দুখে তোমার বাণী নিলেম বুকে, ফাগুনশেষে যাবার বেলা আমার বাণী যাব বলে॥ কিছু হল, অনেক বাকি। ক্ষমা আমায় করবে না কি। গান এসেছে সুর আসে নাই,হল না যে শোনানো তাই– সে-সুর আমার রইল ঢাকা নয়নজলে॥ aami-jabo-na-go
তোমারি নাম বলব নানা ছলে,
তোমারি নাম বলব নানা ছলে, বলব একা বসে আপন মনের ছায়াতলে ॥ বলব বিনা ভাষায়, বলব বিনা আশায়, বলব মুখের হাসি দিয়ে, বলব চোখের জলে ॥ বিনা প্রয়োজনের ডাকে ডাকব তোমার নাম, সেই ডাকে মোর শুধু শুধুই পূরবে মনস্কাম। শিশু যেমন মাকে নামের নেশায় ডাকে, বলতে পারে এই সুখেতেই মায়ের নাম সে বলে ॥ রাগ: খাম্বাজ-বাউল তাল: ত্রিতাল রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৮ ভাদ্র, ১৩২০ রচনাকাল […]
তোমারি ইচ্ছা হউক পূর্ণ
তোমারি ইচ্ছা হউক পূর্ণ করুণাময় স্বামী। তোমারি প্রেম স্মরণে রাখি, চরণে রাখি আশা– দাও দুঃখ, দাও তাপ, সকলই সহিব আমি ॥ তব প্রেম-আঁখি সতত জাগে, জেনেও না জানি। ওই মঙ্গলরূপ ভুলি, তাই শোকসাগরে নামি ॥ আনন্দময় তোমার বিশ্ব শোভাসুখপূর্ণ, আমি আপন দোষে দুঃখ পাই বাসনা-অনুগামী ॥ মোহবন্ধ ছিন্ন করো কঠিন আঘাতে, অশ্রুসলিলধৌত হৃদয়ে থাকো দিবসযামী। […]
তোমার মনের একটি কথা আমায় বলো বলো
তোমার মনের একটি কথা আমায় বলো বলো তোমার নয়ন কেন এমন ছলোছলো ॥ বনের’ পরে বৃষ্টি ঝরে ঝরো ঝরো রবে। সন্ধ্যা মুখরিত ঝিল্লিস্বরে নীপকুঞ্জতলে। শালের বীথিকায় বারি বহে যায় কলোকলো ॥ আজি দিগন্তসীমা বৃষ্টি-আড়ালে হারানো নীলিমা হারালো– ছায়া পড়ে তোমার মুখের ‘পরে ছায়া ঘনায় তব মনে মনে ক্ষণে ক্ষণে, অশ্রুমন্থর বাতাসে বাতাসে তোমার হৃদয় টলোটলো ॥ রাগ: মিশ্র […]