কথোপকথন-৪০

-ধরো কোনো একদিন তুমি খুব দূরে ভেসে গেলে শুধু তার তোলপাড় ঢেউগুলো আজন্ম আমার বুকের সোনালী ফ্রেমে পেনটিং-এর মতো রয়ে গেল। এবং তা ধীরে ধীরে ধুলোয়,ধোঁয়ায়,কুয়াশায় পোকামাকড়ের সুখী বাসাবাড়ি হয়ে যায় যদি? – ধরো কোনো একদিন যদি খুব দূরে ভেসে যাই আমারও সোনার কৌটো ভরা থাকবে প্রতিটি দিনের এইসব ঘন রঙে ,বসন্তবাতাসে,বৃষ্টিজলে। যখন যেমন খুশী […]

কথোপকথন-৩৯

তোমাকে বাজাই সমুদ্র-শাঁখ তুমি। গাছে ফুল আসে ফুলেরা কিশোরী হয়। ডালপালাগুলো সবুজ পাতার খামে চিঠি লিখে লিখে প্রেম নিবেদন করে। ফ্রক ছেড়ে শাড়ি পরে সমগ্র বনভুমি। তমাকে ভাসাই মেঘের নৌকা তুমি তুমি জান লাল প্রবালের নিল দ্বীপ। অমরাবতীর দরজায় এসো নামো, খাট-পালঙ্ক পেতে দেয় জোৎস্নারা। বুড়ি চাঁদ এসে ঝাড়-লন্ঠন জ্বালে। পৃথিবীর ফাটা গালে হেসে ওঠে […]

কথোপকথন-৩৭

ভালবাসা,সেও আজ হয়ে গেছে ষড়যন্ত্রময়। নন্দিনী! এসব কথা তমার কখনো মনে হয়? চক্রান্তের মত যেন,সারা গায়ে অপরাধ প্রবনতা মেখে একটি যুবুক আজ যুবতির কাছাকাছি এসে সাদা রুমালের গায়ে ফুলতোলা শেখে। যেন এই কাছেয়াসা সমাজের পক্কে খুব বিপজ্জনক। যেন ওরা আগ্নেয়াস্ত্র পেয়ে গেছে মল্লিকবাগানে যেন ওরা হাইজ্যাকের নথিপত্র জানে এসেছে বারুদ ভরে গোপন কামানে। একটি যুবুক […]

কথোপকথন-৩৬

তুমিই আমার ধ্বংস হবে তা জানলে এমন করে কি ভাসাতাম ডিঙ্গি নৌকা? ভাসাতাম? তুমি চলে যাবে সমুদ্রে আগে বলনি তাহলে কি গায়ে মাখাতাম ঝড়-ঝঞ্ঝা? মাখাতাম? নুড়িতে-পাথরে নুপুর বাজিয়ে ছোট জলরেখা ছিলে দুই হাত দিয়ে ধরেছি। ধরা দিয়েছ। এখন দুকুল ভরেছে প্রবাহে প্লাবনে উচু মাস্তুলে জাহাজ এসেছে ডাকতে। ওকে সাড়া দাও।।

কথোপকথন-৩৪

-বল তো কত বয়স হল তার? -কার? -যার মাথাভর্তি সবুজ দেবদারু চুল যার টলমলে পা কেবল ভুল পথের কাঁটার উপরে যার সমস্ত কথাই অস্পষ্ট,সন্ত্রাসবাদীদের মত সংকেতময় এবং বিস্ফোরক যে কেবল হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় এমন বাগানে যেখানে ফুলের গায়ে হাত ছোঁয়ালেই অট্টহাসির বিদ্যুৎ যেখানে লতাগুল্মের আড়ালে পিছলে পড়ার গোলাপী গহ্বর আর ফুসলিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে […]

কথোপকথন-৩৩

খবর্দার। হাত সরিয়ে নাও। ব্যাগে ভরে নাও টাকাগুলো। আজ সমস্ত কিছুউর দাম দেব আমি। কী হচ্ছে কি শুভঙ্কর? কেম এমন পাগলামির ঢেউয়ে দুলছো? এই জন্যেই তমার উপর রাগ হয় এমন। মাঝে মাঝে অর্থমন্ত্রীদের মতো গোঁয়ার হয়ে ওথো তুমি। কাল কতবার বলেছিলুম,চলো উঠি,চলো উঠি। এখুনি সেনা বাহিনীর মত ঝাপিয়ে পড়বে বৃষ্টি,চলো উঠি। তুমি ঘাসের উপর বুড়ো […]

কথোপকথন-৩২

তোমার জন্য এনেছি যে উপহার বলতে পারবে নাম? রামধনু? ধেৎ,চাইলে কি কেউ তার ধরাছোঁয়া পায় নাকি? অভ্রের খনি? নীল পাহাড়ের চুড়ো? আমি কি বিড়লা টাটা? তোমার জন্যে এনেছি রক্ত খুঁড়ে চন্দন এক বাটি ।

কথোপকথন-৩১

-যতক্ষন পাশে থাকো,যতক্ষন ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি আমি যেন মেঘে জলে মেশা কোনো আত্মহারা পাখি। বলতো কী পাখি ? -যতক্ষন পাশে থাকো,যতক্ষন ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা উলাক্র স্ফুলিঙ্গ দিয়ে অন্ধকারে দীর্ঘ ছবি আঁকা । বলতো কী ছবি? -যতক্ষন কথা বলো,হাসো ও ঝরাও ধারাজল বীজ থেকে জেগে ওঠে অফুরন্ত গাছ,বনতল। বলতো কী গাছ? -যতক্ষন পাশে থাকো ভুমিকম্প,সুখের সন্ত্রাস […]

কথোপকথন-২৯

-দুরে চলে যাও। তবু ছায়া। আঁকা থাকে মেঘে।যেন ওড়ে বাতাসের সাদা বারান্দায় বালুচরী বহু বর্ণময় । গান শেষ তবু তখনো তার প্রতিধ্বনিরা দশ দিকে। যেন শুধু তুমি তোমারই সব মুরররতিতে ঠাসা মিউজিয়াম ট্রামলাইনের,ছাইগাদার গর্তে গভীর কলকাতায়। কী করে এমন পারো তুমি নন্দিনী? -সহজ ম্যাজিক।শিকবে কি? রুমালটা দাও,ঘন গিঁটে চোখ দুটো বাঁধি।তারপরে যাদুকাঠিটাকে ছুঁইয়ে দি, কাছে […]

কথোপকথন-২৬

আমার চিঠিটার জবাব কই ? যদি না এনে থাকো তাহলে আজ তুলবো এমন ঝড় বসন ঊড়ে যাবে চন্ডীগড় খোঁপার খিল খুলে বন্দী চুল হানবে চোখে মুখে আক্রমণ। কেউটে সাপ হবো।সাত পাকে নগ্ন দৃশ্যের চূড়া ও তল জড়াবো,এমনই সে আলিঙ্গন ভাঙবে হাড়-গোড়। আমার কি ? -এমন ছটফটে ধৈর্যহীন মানুষ কোন্দিন দেখিনি আর। শুনেছি আজকাল বোদলেয়ার রাঁবো […]