দরজা বিষয়ে ভাবনা

বারবার দরজাটা ভেঙে গেছে আমার ঘরের, মনে হয় কাঠ ভালো ততটা ছিল না। একটি দোয়েল কেঁদে উঠেছিল আমলকী ডালে— কিন্তু ভিত এখনো মজবুত বলে আমি কাঁদি নাই। উৎসন্ন সংসারে তাই ভেবেই চলেছি। কবে সেই একদিন তুমুল স্বপ্নের ধাক্কা লেগে উড়ে যাই মানবের ইতিহাস পাঠে; তারপর থেকে আমি ঘর আর দরজা বিষয়ে অনেক ভেবেছি আর ঘুরে […]

এই রাতে

এই রাতে অন্য কিছু নয় বাতাসে শব্দ শোনো, শুধুমাত্র বাতাসের শব্দ_ এই দীর্ঘ দীর্ঘায়িত রাতে অন্যকিছু নয়; নয় কোনো নিদ্রা রোগী বৃদ্ধের কাশির শব্দ কিংবা নয় কোনো সৈনিকের ভারী বুট, ট্যাংকের ঘর্ঘর; নিদ্রা ভিভূতেরও চলাফেরা নয়_ শুধু বাতাসের শব্দ_ অন্যকিছু নয়; আমলকী পাতা ঝরার শব্দও নয়, আলস্য ওড়ার ঝোপ থেকে উঠে আসা অবাঞ্ছিত কান্না কোনো_ […]

একটি পে-স্কেলের জন্য অপেক্ষা

অনেকে অনেক কিছুর জন্য অপেক্ষা করে, কেবলই অপেক্ষা, আমি অর্থমন্ত্রীর একটি পে-স্কেলের জন্য অপেক্ষা করছি। যে বেতন পাই তা দিয়ে শাহবাগ ক্রসিং থেকে ফুল কেনা যায় না, আমার ভীষণ ইচ্ছে নতুন পে-স্কেল চালু হলে সবার আগে আমি তোমার জন্য শিশিরধোয়া একগুচ্ছ গোলাপ কিনবো, বেইলি রোডের বুটিক-শপে একটা থ্রি-পিস দেখেছিলাম একবার, নীল জমিনের ওপর ধবল মেঘের […]

যদি পারো দু:খ দাও

যদি পারো দু:খ দাও, আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি দাও দু:খ, দু:খ দাও – আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি। তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা। আকাশের নিচে, ঘরে , শিমূলের সোহাগে স্তম্ভিত আমি পদপ্রান্ত থেকে সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করি। যেভাবে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ায় পথিক, সেইভাবে একা একা দেখি ঐ সুন্দরের সংশ্লিষ্ট পতাকা। ভালো হোক মন্দ […]

মজা নদী

মজা নদী ওগো মজা নদী মনে আছে? তীর ভাঙা তিন তরঙ্গে খান খান হয়েছিল বুক, ঠুকরে নিলো কি মাছে? ওষ্ঠের সব চুম্বন অভিমান? মনে করো সেই ঢেউয়ে ভরা দিনগুলি দিন চলে গেছে শেওলার স্মৃতি ভরা, আজও কি ডাকে না কলমির অঙ্গুলি? নদী করেছিল নদীকে স্বয়ম্বরা! নদী তুমি নেই, তবু যে দীর্ঘ রেখা কল্পিত স্রোতে ভেসে […]

ঝংকার তোলে কাব্যের রানি

আমি কবি। আমি কথা বলে যাই নিজের ছন্দে আমার শব্দ আমারই গন্ধে— আনন্দে মাতে—দু-হাত তুলে; নূপুর ঘুঙুর কে পরেছে পায়—নৃত্যপরা নাচের মুদ্রা ঘুরে ঘুরে শুধু দিচ্ছে ধরা কী নাম তোমার, কোথায় বা ধাম। কীবা পরিচয়? তবু বলি জয় তোমার বিজয় আসছে ধীরে, নৃত্যের ঢেউয়ে খেলছে দেহের অঙ্গ বুঝি তালে তালে নাচো তরঙ্গ তুলে। আসুক ফিরে— […]

ময়না

এই যে কাকভোরে উঠে দরজা ঝাঁট দিই এই যে হাজারবার গিন্নিমার মুখ শুনি বৌদির কাপড় আর দাদার ফুলপ্যান্ট কেচে নড়া ব্যথা করি বাবুর ধমক খাই অপিসের আগে, বাচ্চা সামলাই আর এই যে সাতবার ক’রে দোকানে দৌড়োই, সে তো মোড়ে তুই রিক্সা নিয়ে আছিস ব’লেই, সে তো পাসিঞ্জার তুলে কি নামিয়ে তুই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিস ব’লেই, […]

আমার চোখে অনেক দুপুর

আমার চোখে অনেক দুপুর তোমার চোখে শতেক সন্ধ্যা নিত্য খেলে হীরের নূপুর ছিপছিপে রজনীগন্ধ্যা বর্ষা মুখর নিবিড় রাত্রি এলোমেলো নীরবতা বেগ আকুল ক্লান্তযাত্রী অশ্রু কেবল কয়যে কথা ।গানের চেয়ে অধিক সজল গভীর ঘন দীর্ঘনিশাস তাইতো খুঁজি শেষ সম্বল অধিক কিছুর করিনি আশ।

এই শীতে কোন্ আঁধি

কখন কার চোখে কোন্ সে আলো লাগে, বঁধুর জানা আছে?-কারো কি জানা থাকে, আলোর উৎসটি কোন্ সে দিক থেকে কার যে চোখে লাগে কেউ কি জানে নাকি? যদি বা জানা যেতো না হয় তদবির কিংবা তদারকি মানুষ করে যেতো- মানুষ অসহায় দৈব অজানা যে! বঁধুর দুই চোখে কোন্ সে আলো লাগে, কেউ কি খোঁজ রাখে: […]

চিড়িয়াখানা

কোলা ব্যাঙের ছা কথা বলেন না কথা বললে ভাঙবে ধ্যান তিনি শুধুই ভাষণ দ্যান জাগুয়ার খাবেন না সাগু আর রোজই বলেন মেজদিকে খাবেন তিনি শেঠজিকে রাত দুপুরে তিনটে বানর, কেবল বলে, “পকেটে পোর |” “কাকে রে কাকে ?” —“সূর্যটাকে |” ভোট দিও না হাতিকে, ভোট দিও তার নাতিকে | ভোট দিও না গাধাকে, ভোট দিও […]