তুমি ডাক দিলে

২৪. তুমি ডাক দিলে একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল, কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার। তুমি ডাক দিলে নষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছে শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে পৌছুবো পরিণত প্রণয়ের উৎসমূল ছোঁব পথে এতোটুকু দেরিও করবো না। তুমি ডাক দিলে সীমাহীন খাঁ খাঁ নিয়ে মরোদ্যান হবো, তুমি রাজি হলে যুগল আহলাদে এক […]

তীর্থ

২৩. তীর্থ কেন নাড়া দিলে? নাড়ালেই নড়ে না অনেক কিছু তবু কেন এমন নাড়ালে? পৃথিবীর তিন ভাগ সমান দু’চোখ যার তাকে কেন একমাস শ্রাবণ দেখালে! এক ওভাবে নাড়ালে? যেটুকু নড়ে না তুমুলভাবে ভেতরে বাহিরে কেন তাকে সেটুকু নাড়ালে? ভয় দেখালেই ভয় পায় না অনেকে, তবু তাকে সে ভয় দেখালে? যে মানুষ জীবনের সব ক’টি শোক-দ্বীপে […]

ডাকাত

২২. ডাকাত তুমি কে হ? সোনালী ছনের বাড়ি তছনছ করে রাতে নির্বিচারে ঢুকে গেলে অন্দর-মহলে বেগানা পুরুষ, লাজ-শরমের মাথা খেয়ে তুমি কে হে? তোমাকে তো কখনো দেখিনি আগে এ তল্লাটে মারী ও মড়কে, ঝড়ে, কাঙ্ক্ষিত বিদ্রোহে। আমাদের যুদ্ধের বছরে ভিন্‌ গেরামের কতো মানুষের পদচারণায় এ বাড়ি মুখর ছিলো, তোমাকে দেখিনি ত্রি-সীমায়। চতুর বণিক তুমি আঁধারে […]

ঘরোয়া রাজনীতি

২১. ঘরোয়া রাজনীতি ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন, আগামী মিছিলে এসো স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন। আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো, ধ্রুপদী পিপাসা নিয়ে আসো যদি লাল শাড়িটা তোমার পড়ে এসো। ১৬.২.৮৪

ক্যাকটাস

২০. ক্যাকটাস দারুন আলাদা একা অভিমানী এই ক্যাকটাস। যেন কোন বোবা রমণীর সখী ছিলো দীর্ঘকাল কিংবা আজন্ম শুধু দেখেছে আকাল এরকম ভাব-ভঙ্গি তার। ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী কন্টকিত হাহাকার আর অবহেলা, যেন সে উদ্ভিদ নয় তাকালেই মনে হয় বিরান কারবালা। হয় তো কেটেছে তার মায়া ও মমতাহীন সজল শৈশব অথবা গিয়েছে দিন এলোমেলো পরিচর্যাহীন এক রঙিন […]

কোমল কংক্রিট

১৯. কোমল কংক্রিট জলের আগুনে পুড়ে হয়েছি কমল, কী দিয়ে মুছবে বলো আগুনের জল। ১৫.১১.৮০

কে

১৮. কে বেরিয়ে যে আসে সে তো এভাবেই আসে, দুর্বিনীত ধ্রুপদী টংকার তুলে লন্ডভন্ড করে চলে আসে মৌলিক ভ্রমণে, পথে প্রচলিত রীতি-নীতি কিচ্ছু মানে না। আমি এক সেরকম উত্থানের অনুপম কাহিনী শুনেছি। এমন অনমনীয় পৃথক ভ্রমণে সেই পরিব্রাজকের অনেক অবর্ণনীয় অভিমান থাকে, টসটসে রসাল ফলের মতো ক্ষত আর ব্যক্তিগত ক্ষয়-ক্ষতি থাকে। তাকে তুমুল শাসায় মূলচ্যুত […]

কবুতর

১৭. কবুতর প্রতীক্ষায় থেকো না আমার আমি আসবো না, থাকলো কথার কবুতর কখনো বাইষ্যা মাসে পেয়ে অবসর নিতান্তই জানতে ইচ্ছে হলে আমার খবর পাখিকে জিজ্ঞেস করো নিরিবিলি, পক্ষপাতহীন পাখি বিস্তারিত সংবাদ জানাবে কী কী ব্যথা এবং আর্দ্রতা রেখেছে দখল করে আশৈশব আমার একালা, আমি কতো একা, কতোখানি ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত আমার […]

কবিতার কসম খেলাম

১৬. কবিতার কসম খেলাম আমি আর আহত হবো না, কোনো কিছুতেই আমি শুধু আর আহত হবো না। যে নদী জলের ভারে হারাতো প্লাবনে এখন শ্রাবণে সেই জলের নদীর বুকে জলাভাবে হাহাকার দেখে আমি আহত হবো না। সবুজ সবুজ মাঠ চিরে চিরে কৃষকের রাখালের পায়ে গড়া দু’পায়া পথের বুকে আজ সেই সরল সুন্দর সব মানুষের চিতা […]

কবি ও কবিতা

১৫. কবি ও কবিতা কবির জীবন খেয়ে জীবন ধারণ করে কবিতা এমন এক পিতৃঘাতী শব্দের শরীর, কবি তবু সযত্নে কবিতাকে লালন করেন, যেমন যত্নে রাখে তীর জেনে-শুনে সব জল ভয়াল নদীর। সর্বভূক এ কবিতা কবির প্রভাত খায় দুপুর সন্ধ্যা খায়, অবশেষে নিশীথে তাকায় যেন বয়ঃসন্ধিকালের কিশোরী, কবিকে মাতাল করে শুরু হয় চারু তোলপাড়, যেন এক […]