তুমি আমার কাছে চেয়েছো রাবীন্দ্রিক চেতনা,
এটেঁল মাটি দিয়ে তৈরি পুতিঁতে আমার নীল
তুলির আচড়ের স্বস্তা গহনা,
তুমি আমার কাছে চেয়েছো ভাঙ্গনহীন নদীর স্বপ্নীল পাড়,
আর একই সাথে থেকে রঙ্গধনুর রঙ্গে বুঁনতে
আমাদের একটি কুড়ের আচঁল,
হাহ্ … কি সব পুরাতন সাধ।
বরং তোমায় আমি দেব ২০৬ টি হাড়,
বুকের খাঁচার ভেতরের হৃৎপিন্ড,ফুসফুস, আর
আমার একমাত্র বর্বর হাতিয়ার, হাজার বছরের ন্যায়
আজ তোমায় নিস্বার্থ দিয়ে দেব।
শুধু করোটি বন্দী স্মৃতিটুকু আমারই থাক,
যে স্মৃতিতে আছে অজস্র নগ্ন শিকারের কাহিনী,
আর আছে পৃথিবীর আদিমতম সঙ্গীতের মূর্ছনা,
নতুন নতুন কন্ঠের…, অজস্র বিনিদ্র দেহের আকিঁবুকি আল্পনা।
তোমার জন্য তাই শুধুই ২০৬ টি হাড়,
নগ্ন আমার বুকের খাঁচার ভেতরের হৃৎপিন্ড,ফুসফুস, আর
আমার একমাত্র বর্বর হাতিয়ার।
আমার সার্বজনীন জৈবিক কারখানাটি গ্রীক পুরানের আফ্রোদিতের
মত নয় যে শুধু বসন্তে তোমাকে চাইবো,
আর দেবী হয়েও বাছবিচার ভুলে
তুলে নেব মর্তের কর্দমাক্ত মানব-শিশু।
হে পল্লবী নারী, তুমি আমায় পাবে বছরের বারোটি মাসে,
কাজের ফাঁকে-ফাঁকে চেনা-অচেনা অবকাশে।
তোমাকে দিয়ে দেব তাই ২০৬ টি হাড়,
বুকের খাঁচার ভেতরের হৃৎপিন্ড,ফুসফুস, আর
আমার একমাত্র বর্বর হাতিয়ার।
…একজন ভালবাসাহীন পুরুষের এর বেশি
আর কিইবা দেবার আছে…?
অনেক সুন্দর !
মনে হয় অনেক আগে একবার প্রথম আলো ব্লগে পড়ে ছিলাম , অনেক ধন্যবাদ ।সবসময় লিখবেন । ব্লগে অনেক এ কবিতা লিখেন উনারা যদি কবিতার সাইটে লিখতেন তবে আমরা উনাদেরকে কবি হিসাবেও জানতাম ।