শাদা কাগজের ওপর রেগে যাই,
সাড়ে চুয়াত্তরে এসে
বাক্যালাপে মেতে ওঠে
অসমাপ্ত পদ্যগুলো,
স্মৃতিরাশি শাদা মেঘমালার চেয়েও
অধিক এলোমেলো।
নবীন টাটকা সবুজে
সদ্য ছানি-কাটা চোখ ফেলি
এখনও আশ্বাস দেয়
বৃক্ষ, তৃণ, পুষ্প আর পাতা…
রঙিন শাড়িতে মোড়া
কপালে সিঁদুর নিয়ে
কেউ নেই এক মাল্লা নাওয়ে,
ট্রলার থেকে নামে
কয়েকটি জিন্স ও টি শার্ট
এর মাঝে চঞ্চল তরুণীও আছে।
এখন ঠিকই বুঝতে পারি, কে নারী কে পুরুষ
এক সঙ্গে নৃত্য করে
ঝকঝকে প্রতিমার দৃষ্টির সীমায়—
জলাশয় ভরাটের মাটির ওপরে
কাশফুল জ্যোৎস্নায়,
আহা, কী আলো, সুগন্ধী আলোক
জড়াজড়ি করে দোলে!
জিন্স-পরা বিধবাটিও নাচে
ছন্দিত চরণ, সর্ব অঙ্গে ঢেউ তোলে,
মালশা থেকে ছিটকে পড়ে চঞ্চল আগুন,
স্বামীটি সামাল দেয় তারে।
বিদ্যাসাগরের নাম
এ মেয়েটি কখনও শোনেনি।