ঋতুর অতীত আমি। কে জিজ্ঞাসে এটা কোন মাস?
বাতাসে গড়িয়ে পড়ে বিদায়ের বিষণ্ন নির্যাস।
শ্রবণেরও শক্তি নেই। কিন্তু ভাবি কোলাহল আছে
প্রতিটা বাড়ির রন্ধ্রে, ইটে ইটে, আনাচে-কানাচে।
এটা কি শরৎ সন্ধ্যা? বাংলাদেশ? কাঁশফুলে ছেয়ে গেছে চর?
উদাম আকাশে তবে এখনও কি মাথার ওপর?
এমন নির্গন্ধ বায়ু কোনকালে ছিল কি এদেশে?
আমার পঙ্ক্তি শুনে, কারা হাসে? প্রেতের আদেশে
মনে হয় মরে গেছে শরতের সন্ধ্যার শহর।
আর কোন স্মৃতি নেই, ভীতি নেই, নীতি নেই কাঁপে থরথর।
অস্তিত্বের কাঠামোখানি, হাড়গোড় রক্তের নহর।
এভাবেই কাব্য হয় তর্কে তর্কে কেঁপে ওঠে
কবির অধর।