আকাশের কোলে মেঘের স্তম্ভ বিদ্যুৎ চমকায়
বুঝি ওই আসে কাল বৈশাখী দমকে গমকে ধবংসের গরিমায়।
ঝরো বৃষ্টির ঘূর্নি উঠেছে-
মাথা খুঁটে গাছপালা, বাজে ধমকে গমকে কাঁপছে আমার বুকের জ্বালা।
কালো হয়ে আসে মেঘের স্তম্ভ, নাচের মুদ্রা তুলে
নাচে নটরাজ দু’পায়ে আওয়াজ হাত দুটি তুলে ঐ
কারা যেন বলে আমি তো এখানে ঝনজা কেহ নই
নাচের ছন্দে মহা আনন্দে জগৎ কাঁপিয়ে কারা ছন্দে গন্ধে
একি আনন্দে বৃষ্টির বোল তুলে আকাশে উড়িয়ে কেশবাস গেল
প্রলয়ে মেতেছে নারী উড়েছে তাহার শাড়ীর আঁচল নারী নয় তরবারি।
ধ্বনির দাপটে কি জানি কি ঘটে নূপুর বাজছে পায়ে
চারিদিকে বেজে উঠে কলরোল, নাচের মুদ্রা তুলে নৃত্যর তালে বাতাসের পালে
বেজেছে নৃত্য কাঁপায়ে ভৃত্য যেন উল্লাসে মাতোয়ারা
নিজের সঙ্গে নিজেই মাতাল কে যেন আত্মহারা
বলছে প্রলয় আর কিছু নয় আমি ছন্দের রাজা—
ওরে তোরা সবে ঢাকঢোল নিয়ে বাজা সংগীত বাজা।