একুশে ফেব্রুয়ারী চলে গেল। আমাদের জাতীয় জীবনে একুশ শুধু একটা সংখ্যাই নয়। একটা ইতিহাস। একুশকে উপলক্ষ করে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঙলা একাডেমীর বই মেলাও একুশকে ঘিরে। জাতীয় পর্যায়ে “একুশে পদক” দেওয়া হয়।
আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক একুশে পদক পেয়েছেন, এরকম একটা সংবাদ দেখে খুশী হয়ে খবরটা পড়ে জানলাম বাংলাদেশের একটা সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে “একুশে পদক” দেওয়া হয়েছে। উনার পদক পাওয়া না পাওয়া বিষয় নয়।
বিষয় হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন একুশে পদক দেবে,স্বাধীনতা পদক দেবে। পত্রিকা প্রকাশনা থেকে একুশে পদক, টেলিভিশন থেকে একুশে পদক … এভাবেই চলতে থাকবে। এটা হতে পারে না।
জাতীয় পর্যায়ে যে “একুশে পদক” বা “স্বাধীনতা পদক” এর অনুকরণে যে কেউ পদক দিতে পারবে। এরকম লাগামহীনতা জাতীয় পর্যায়ের পদক কে ছোট বা বিতর্কিত করে তুলবে। কিছু কিছু বিষয়ে জাতীয় সিদ্ধান্ত থাকা উচিত। একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক এরকম মুল্যবান পদক গুলো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই শুধু দেওয়া যাবে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এরকম পদক প্রদান করতে পারবে না।
কেউ ইচ্ছা করলে “বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার” দিতে পারে না।
লাগামহীনতা জাতীয় পর্যায়ের পদক কে ইতিমধ্যেই বিতর্কিত করে তুলেছে।
জাতীয় পদক জাতীয় ভাবেই দেওয়া দরকার