বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কয়েক দিন আগে একটা পোষ্ট দেখেছিলাম আমার এক ফেসবুকার বন্ধুর পোষ্টে। অবশ্য তিনি সেভাবে উল্লেখ না করলেও আমার কাছে উনার পোষ্টের বিষয়টি নারীর ক্ষমতায়নের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে। উনার পোষ্টটি ছিল একজন শিক্ষিকা নিজের হাতখরচের জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হয়।
আমার জানামতে বাংলাদেশে এরকম অনেক দম্পতি আছেন ক্ষেত্রবিশেষে স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর আয় বেশী হলেও স্বামী রত্নটি এক গ্লাস পানির জন্যও স্ত্রীর কাছে আদেশ করেন। উনার কাছে স্ত্রী আর বাড়ির কাজের লোকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই …
আমি তাদের কজন কে বলেছি … কাজের লোক না হলেই কি হয় না ?
সবচেয়ে খারাপ লাগলো উনাদের বেশীর ভাগই কাজের লোক হয়েই থাকতে পছন্দ করেন।
এই হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন ।
যে দেশে উপার্জনক্ষম নারীদের এই অবস্থা, অন্যদের কি তা বলাই বাহুল্য …।
বলাই বাহুল্য!
নারী ক্ষমতায় দেশ চললেও সব নারী স্ব ক্ষমতাবান বা স্ব ক্ষমতাবতী নন। নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন পরি-ব্যবস্থাটাই গোলমেলে। প্রশ্ন উঠবে সমকক্ষতা নিয়ে। বিশেষ করে অপরাপর শিক্ষায় ক্ষমতা যখন দূর্বলতার খোলস ছেড়ে বেরুবে সেই সক্ষমতার দাম্ভিকতা অথবা জৌলুস দেখতে পুরুষ জগৎ অভ্যস্ত কতটা হবেন সেটাই বিবেচ্য।
পুরুষ শোষিত বা পুরুষ শাষিত সমাজের সংসার কর্তা পুরুষ বলে কথা।