আজ অফিসে কাজের ফাঁকে বাবাকে মনে পড়লো, বাবা গত হয়েছেন পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। বাবা খুব সাধারন জীবন যাপন করতেন। আমার দাদার সম্পত্তি ও ছিল প্রচুর, তারপরো বাবা আরো কিছু সম্পত্তি যোগ করে গেছেন। দাদার অনেক সম্পত্তি সম্পর্কে আমিও তেমন জানি না। বাবাও আমাকে জানান নি। আমিও জানতে চাই না।
বাবার জন্য আমার খুব মন খারাপ হয়, কেন তিনি নিজের কথা না ভেবে সম্পত্তি যোগ করে গেছেন। বাবা আমার ওসবে লোভ নেই। যদি কোনদিন সময় আর সুযোগ পাই আমি সেসব এমন কাউকে দিয়ে যাব যাদের এসব প্রয়োজন। আমি চাই নিজের মতো করে বাঁচতে, বাবা হয়তো আমাদের কথা ভেবেছেন।
যতদিন বাঁচি নিজের জন্য বাঁচবো।
নিজের জন্য।
বিশ্বাস নেই কোন সম্পর্কেই ……….।
সামান্য দ্বিমত আছে স্যার।
নিশ্চয়ই আমরা যতদিন বাঁচি নিজেদের জন্য বাঁচবো। এই নিজেরা কারা !! আমাদের আশেপাশে আমাদের পরে নির্ভরশীলদের স্বাবলম্বী করার জন্য। শতভাগ না হোক কিছুটা তো অবশ্যই। তুচ্ছ থেকে বিজ্ঞ … আমরা সবাই আমাদের পরস্পরের জন্য। কেবল নিজের জন্য নয়; বিশ্বাস রাখতে হবে সম্পর্কে। তা যত ঠুনকো আর অযোগ্যেই হোক না কেনো। কী ক্ষতি !!
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে? আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ, ‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে, ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
_________ কবি কামিনী রায়’কে ভীষণ মনে পড়ে। :)
এই মন্তব্যের পর আলাদা কোন মন্তব্য নাই।
সম্পর্ক কিন্তু টিকিয়ে রাখতেই হবে তা সে যতই দূরের কিংবা ক্ষীণ হোক।
এটা খুব ভাল চিন্তা যে নিজের প্রয়োজনে যা লাগবে না তা অন্যকে দিয়ে দেওয়া। নিজের জন্য যা লাগবে না তা অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার চিন্তাকে সাধুবাদ জানাই।