আমাদের গ্রামে কারো বাড়িতে ছেলে বা মেয়ের বিয়ে ঠিক হলে বিয়ের অনুষ্ঠান কি ভাবে হবে, কতো জন লোক খাবে ? খাওয়ার কি কি আইটেম হবে ? সেসব নিয়ে গ্রামের মুরুব্বীদের মতামত নিতে হয় আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলে “পানচ্ছল্লা”। এটার অনেক রকম ব্যাখা আছে। যেমন পান খেয়ে খেয়ে চ্ছলা (পরামর্শ)।
সত্যি কথা বলতে এর কোন গুরুত্বই নেই। তারপরও মুরুব্বীদের ডাকতে হবে উনাদের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে উনারা বিয়ে অনুষ্ঠান বয়কটও করতে পারেন। উনাদের পরামর্শ কোন কাজেই আসে না, আবার উনাদের পরামর্শ মতো অনুষ্ঠানও করে না কেউ।
এরকম অনেকে আমার কাছে মাঝে মাঝে পরামর্শ চান (আমি নিজেকে তখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবি)। আমি পরামর্শও দেই! যদিও জানি তা কথার কথা। পরামর্শ দেওয়ার মতো কোন যোগ্যতাই আমার নেই কখনো ছিলোও না। বুঝতে পারি সিদ্ধান্তটা অনেক আগেই নেওয়া হয়ে গেছে।
বোকা সাজার মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ আছে …
আমাদের ও এই নিয়ম মানতে হয় ।
মন্দ না…
হুম। বোকা সাজার মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ আছে। ঠিক বলেছেন স্যার।