নব্বইয়ের দশকে কিশোরগঞ্জে কর্মকালীন সময়ে আমার এক সহকারীর নাম ছিলো মাহতাব। বউকে খুব ভয় পেতো, বউয়ের নির্দেশ ছিলো সন্ধ্যা সাতটার পর ঘরের বাহিরে থাকা চলবে না। কিন্তু মাহতাব যদি আমার সাথে রাত দশটা পর্যন্তও থাকে বউ কিছু বলবে না। মাঝে মাঝে আমাকে এনিয়ে তাঁর বউয়ের কাছে সাক্ষী দিতে হতো (সব সময় যে আমার সাথে থাকতো তা নয় )।
যেখানে ছিলাম তার পাশের উপজেলায় শীতের রাত গুলোতে মাস ব্যাপী “আনন্দমেলা” হতো। বৃহস্পতি বার অফিস শেষ হলেই মাহতাব আমাকে নিয়ে মেলায় যেতো আসলে তার উদ্দেশ্য ছিলো হাউজি খেলা। আমি সহ গেলে তার বউয়ের কাছে সাত খুন মাফ। আমারও কিছু করার ছিলো না, যেতাম অন্তত সময় কাটানো তো যেতো।
হাউজি খেলাটা খুব মজার। লটারি করে এক একটা সংখ্যা বলা হতো তারপর নিজের কাছে থাকা শীটে তা মিলিয়ে নেওয়া হতো। এই নম্বর বলার স্টাইল টা খুবই মজার।
সব মনে নেই কিছু কিছু মনে পড়ছে … একুশ সংখ্যাটিকে বলা হতো
“দিবস টি মহান”
“টুয়েন্টি ওয়ান”
———
জীবনের কোন অভিজ্ঞতাই ফেলনা নয়।
জুয়া এবং গেম কোনটাই আমার কোন দিন ভালো লাগেনি।
কিশোর বয়সে ইমদাদুল হক মিলনের লেখা খুব পড়েছি। একটা শব্দ শিখেছিলাম উনার লেখা থেকে “মজুমা”। এটি আসলে তিনটি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
“মজুমা”। এটি আসলে তিনটি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
ধন্যবাদ ভাই মিতা। আমি এই কথাটা ঢাকাইয়া হিসেবে অনেক শুনেছি কিন্তু মানে বুঝতাম না মনে করতাম আনন্দ ফুর্তির আর এক নাম কিন্তু আজ আপনার লেখা থেকে abbreviation সহ জানলাম।
ক্রমিক সংখ্যা দেখে যে কোন পাঠক অনুমান করতে পারবেন …
জীবন নিয়ে লিখার পর্ব গুলোন হতে পারে জীবন অথবা জীবন বোধের নানান দিক।
অভিজ্ঞতা সবার জীবনেই থাকে। কম অথবা বেশী। হাউজিতে আমার অভিজ্ঞতা কম।
তবে রোল কল গুলোন ভীষণ অনবদ্য। যেমন –
চণ্ডিদাস রজকিনীর পড়শী
রজকিনীর জন্য চণ্ডিদাস বেয়েছিল বড়শী।
নাম্বার ১২ (টুয়েলভ) … এবার শীটের নাম্বার মিলিয়ে সংখ্যা কাটো।
“মজুমা” বুঝি নাই জনাব। অনুমানে রেখেছি। সবখানে সত্য বলতে নাই।
আরে জনাব মুরুব্বী মজমা বুঝলেন না! মদ, জুয়া এবং ইংরেজি www এর শেষ w, এইবার বুঝছেন?
ইংরেজি www এর শেষ w. এখানে দেখি টুইস্টের গন্ধম জনাব। পাইছি।
প্রাইভেট ম্যাসেজ এ জবাব দিতে হবে মুরুব্বী …
জ্বী জনাব।
এলেবেলে লেখা বেশ হয়েছে। সত্যিইতো জীবনের কোনো অভিঙ্গতাই ফেলনা নয়।
পর্ব১ এ সাথে আছি আশা করি সামনের পর্বগুলোতেও সরব উপস্থিত থাকব। শুভ কামনা আপনার প্রতি।
জীবনের ছোট ছোট অনুভুতি গুলো মাঝে মাঝে মনকে নাড়া দেয়
হুমায়ুন আহমেদ উম্মাদ পত্রিকায় ‘এলেবেলে’ নামক একটি রম্যরচনা লিখতেন। যেখানে থাকতো কিশোর-কিশোরীদের জন্য রম্যরচনার একটি জীবনদর্শন, যা লিখকের নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী নিয়ে লেখা।
আজ আপনার এলেবেলে পড়ে মনে হলো – সত্যিই জীবনের কোন ঘটনাই ফেল্ না নয়। অন্তত সেটা যদি তুলির আঁচড়ে তুলে আনা যায়, তাহলে একটা জীবনদর্শন হয় বৈ-কি?
ধন্যবাদ আপনাকে।
এলেবেলে পড়ে বেশ মজা পাইলাম।
আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই :)