পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এরকম হয় কিনা জানি না যেমন জাপানে দুজন বিদেশীর দেখা হলে নিজের অজান্তেই একে অন্যকে সম্ভাষণ জানান ,অপরিচিত হলেও কথাও বলেন।
আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে বিদেশির সংখ্যা খুবই কম। একটু আগে আমার বাড়ির কাছের এক ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরের লবিতে “বনসাই” প্রদর্শনীতে এক বিদেশী ভদ্রলোক ইংরেজীতে জানতে চাইলেন আমি কোন দেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশ বলতেই চিনতে পারলেন। অনেক কথা হলো উনার সাথে। বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি। উনার বাবা হচ্ছেন আমেরিকান, মা জাপানিজ। ত্রিশ বছর ধরে জাপানে বাস করছেন।
একবার বন্ধুর সাথে বাংলাদেশ যাবার ভিসাও নিয়ে ছিলেন। বন্ধুর কোন এক অসুবিধার কারনে বাংলাদেশ যাওয়া হয়নি তাঁর। কথা শুনে বুঝলাম বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক খবর রাখেন। আমার কাছে বাংলাদেশের সাইক্লোন প্রসঙ্গে জানতে চাইলেন।
এক পর্যায়ে তিনি জানতে চাইলেন বাংলাদেশে বাঘ হরিণ আছে সে স্থানটির নাম যেন কি? আমি বললাম সুন্দরবন।
সেখানে যাবার ইচ্ছে ছিল তাঁর (মনে মনে ভাবলাম উনি কি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা শুনেছেন ? না শুনাই ভাল)। আমি বললাম আমিও কখনো যাইনি। উনি জানতে চাইলেন বাংলাদেশের কোন এলাকায় আমার হোম টাউন।
আমি চট্টগ্রাম বলতেই, তিনি বললেন ও হ্যাঁ পোর্ট সিটি …।
(উল্লেখ্য প্রদর্শনীতে ভদ্রলোকের বনসাই ও প্রদর্শিত হচ্ছিল )।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভদ্রলোকের জ্ঞান নিশ্চিত অসামান্য।
যদি কখনও পুনরায় দেখা হয় … বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
সেখানে যাবার ইচ্ছে ছিল তাঁর (মনে মনে ভাবলাম উনি কি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা শুনেছেন ? না শুনাই ভাল)।
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের উপর একটি শিশির বিন্দু ।
বাংলাদেশ ও যে কতো সুন্দর ট্রেনের জানালার পাশে বসলে বোঝা যায় ।
যেনো অননতকাল চলছি তো চলছি – অসাধারণ এই অনুভুতি –
ভালো লাগলো আপনার লেখা –
ওই বিদেশী ভাইয়ের জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
সাথে আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
শুভ কামনা জানবেন।