নদী ও রাত্রি বণ্টন হয়ে গেলে আলোকরঞ্জন
দায় নিয়ে উদ্দালক, পাহারাদার।
মহাত্মা গান্ধীর মতো নতজানু হয়ে বললাম, ‘চরের জনগণ
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দ্বারস্থ আপনার
‘যথার্থ মুরুবি্ব পাওয়া দুষ্কর এখন,
বিশ্বজুড়ে হরেক কিসিমের তালেবর,
হাওয়া বুঝে দিচ্ছে সবক; ঘরের শত্রু বিভীষণ;
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ নিচ্ছে কেড়ে বাস্তু-ভিটেঘর’
আমার কথায় আলোকরঞ্জন, “এই প্রজন্মের হাতে
সহাবস্থান আর সৌহার্দ্যের গুরুবার দিতে চাই,
বুড়োদের মতো নিশ্চয় মাতবে না সংঘাতে,
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে শান্তির নামে চুষবে না আঙ্গুল বৃথাই”
বলি, ‘এই প্রজন্মের ছাওয়ালপল দুর্গত এলাকায়
অকুতোভয়, ব্লগে-টুইটারে পাঠাচ্ছে প্রতিবেদন,
সুকোমলমতি পোলাপান শাহবাগ, বাংলা একাডেমীর বইমেলায়
নিশান উড়িয়ে বলছে কে কারা দেশের দুশমন
‘যে-তারুণ্য বাংলার মাঠেপ্রান্তরে আজ,
স্লোগানে-বিপ্লবে অহিংস, শান্তির পাহারাদার।
ইতিহাসের কঠিন দায় নিয়ে গড়ছে সমাজ,
ওদের গীতাঞ্জলির ভাষা লক্ষ-হাজার জনতার