আমার মায়ের বিশাল আঁচল লিলুয়া হাওয়ায় নাচে
তার এক কোণে দুষ্টুমতো কে যেন লুকিয়ে আছে।
আমি গেলাম কাছে
আরে, এ যে আমি, কী যে অবাক লাগে
মা বললেন, এই ছেলে, তুই কে?
মুখ খুলে তুই পরিচয়টুকু দে।
পালাবি না, আমার কথা শোন।
আমি বললাম, নামটা হুমায়ূন।
তোর হয়েছে কী, বল?
তোর চোখে টলমল কেন জল?
কেঁদে তোদের সব দুঃখ নিয়ে কাঁদব একা আমি
এ কথাটি বললে হবে নাকি?
এই হুমায়ূন বোকা,
আমার দুষ্ট খোকা,
কাগজ নিয়ে বসতো আমার কাছে।
চোখ মোছ, কলমটা নে হাতে।
কী লিখবি, মন যা লিখতে চায়।
কাগজ তো নেই, বিছিয়ে দিলাম আঁচল।
আর দেরি না, লিখতে বস রে পাগল।
আমি লিখতে বসেছি, লিখে যাচ্ছি।