হাঁটতে হাঁটতে এলাম চলে, এই ঘনবন
হঠাত্ ভাবি একটু দাঁড়াই—কার দু’নয়ন
আমার দিকে তাকিয়ে আছে অশ্রু-সজল
দু’গাল বেয়ে ঝরছে কি তার চোখের কাজল?
আমার কেন ইচ্ছে করে বাড়ি ফেরার
বাড়ি-ঘর কি ছিল আমার?
ভাঙা বেড়ার আড়ালে সেই একটি গৃহ
দাঁড়িয়ে আছে হাওয়ার মাঝে খুব নিরীহ!
কে আছে গো এই বাড়িতে, দাও না দেখা!
ফেরার কথা ছিল আমার ফিরছি একা।
ওই তো দেখি দরজা আঁটা শিকল তোলা—
কাঁপছে শরীর দেখছি চোখে নাগরদোলা।
চোখের ওপর শর্ষে ফুলে হলদে ছবি
থরথরিয়ে কাঁপছে হৃদয়—এক যে কবি।
কবি মানেই সেই চেহারা স্বপ্নঘেরা
আর তো আছে সামনে আমার ভাঙা বেড়া।
এই তো বাড়ি! এই তো বাড়ি! সিক্ত শাড়ি
উঠোন জুড়ে ছড়িয়ে আছে—কে গো নারী?
এগিয়ে এসো হাতটি ধরো, স্পর্শ করো
ঝড়ের পরের পাখির মতো থরোথরো।
কাঁপছে শরীর, ইচ্ছে হলো গড়িয়ে পড়ি
কিংবা কারো হাতের ছোঁয়া স্পর্শ করি।
১৪.০৮.২০১২