হে কবি হে মোর প্রিয় কবি
তুমি পুরুষের কামনার প্রতীক
চির যুবক আগুনের ঘোড়া,
মূর্ত যৌবনের রূপ।
একদা তোমাকেই লিখেছিলামঃ
তোমার পিছু আমি ছাড়বনা। কিছুতেই না।
আনাচে কানাচে গলি ঘুঁজিতে অথবা জঙ্গলে।
সহুরে দিন গুজরোনোর ফাঁকে ফোকোড়ে,
গেঁয়ো হাঁসির ছাতা পড়া দাঁতে অথবা নীল
সমুদ্দুরের ওপারে গোলাপী চামড়ার জামায়।
যখন যেখানেই থাকো। এ পাড়ায় বা ও পাড়ায়
ম্যাপেলের ঝড়া পাতার নীচে, উইলো বনে
সাদা ভালুকের কম্বলের তলায়, নভেম্বরের
হালকা হাওয়ায় বরফ-বরফ বুড়িরচুল খেলায়
অথবা গভীর তুষার খোঁদোলে।
নেফুদ মরুর উটের হাওদায়
মরুবালিকার রমন দুপুর হয়ে।
কলরাডোর শঙ্খোন্মুখ ক্যাক্টাস মন অথবা এই
অনুগুলের আকন্দ বন, আমার শেকলে বাঁধা।
ছাড়বনা সঙ্গি স্যাঙাত, পিছু নেব অনন্তের পথে।
নিজের শিশ্ন টেনে দেখেছি টানলে বাড়েনা।
ওটা স্থিতিস্থাপক।
মস্ত শিকারী তুমি।
আমি তাই তোমার পোঁদে পোঁদে ঘুরি।
পুরো পাঁজরের হাড় কটা তুমি খেতে পারবেনা।
জানি ছুঁড়ে দেবে।
আমি ল্যাজ নাড়ি এঁটো হাড় মুখে।
তবলায় সঙ্গত করে হাঁড়িচাঁচা।
তারে বসে তাল দেয়ে ফিঙে।
ইলোপ হতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পথ চলতি
দোয়েল। গুন গুন করে ভাঁজে দু কলি।
তোমার চোখ থেকে পাতা খুলে নিয়ে
ডিঙি বানাব। ভেসে যাব সাগরের গ্যাঁজলায়
কালো রক্তের ছিটে হয়ে। আমি ছিনে জোঁকের
পেটে মুক্তোর খিদে। আমি উই পোকার
পাঁশুটে উপোষ, লাখে লাখে। কখনও মরি না।
তোমার ঘিলুর উকুন কুটকুট, যেচে দাও ভাল।
না হলে ঠেক গাড়ব তোমার খুপরিতে।
ভ্যালসা মেরে যাবে তোমার
চেতনা, আমার সংক্রমণে।
আবার পৃথিবীর সব প্রেম ছিনিয়ে নাও বলে
তোমাকেই আঁচড়াতে চেয়ে
শানিয়ে রেখেছিলাম মিনি বেড়ালের নোখঃ
ফিচেল, যোমের থাবার নিচে
তোর মুখ দেখতে বড্ড ইচ্ছে করে।
যম তোর বাড়িতে ঢুকে কলার হ্যাঁচরায়
ঠিক তখন পৌঁছে যাব দেখিস
তুই ডাকিস বা না ডাকিস।
হারামীগুলোর পায়ের ফাঁক গলে
ঠিক পৌঁছে যাব দেখিস,
আমি না গেঁড়ে।
তোর মুখ যমের থাবার নিচে
বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে, ভ্যাদা মারে
কি না মারে।
সত্যি কি জানিস।
দুটো দেওয়াল আর ফাঁকটুকু ডিঙোনো
এক্কা দোক্কা লংজাম্প পোলভল্ট
অথবা আমার মতন লাথখোর ফুটবল।
বাকি সব মেকী।
তুই যে বলিস তুই হলি উড়ান
ডানায় ফিচেল হাওয়া ভরা।
মানবো, আগে তোর মুখ দেখে আসি,
তখন জানব তুই আনতাবরী হাওয়ায়
ওড়ার কারিকুরি না নাভী উগরোনো
রক্ত আঁশটানো ভন্ড ঢ্যামনার চোতা।
আজ তোমার নখ কাটার গল্প শুনে
গুঁটিয়ে নিলাম সব নোখ।
কবি তোমাকে দেশ বোঝেনি আনন্দ
বোঝেনি কারণ তুমি ভন্ডামী করতে শেখোনি
তুমি তো ঐহিক নও তুমি প্রেমিক হাওয়া
তোমার রিরংসা তোমার রভস পার্থিব নয়
দুষ্টু এরিয়েল শিসে তোমার সব মিলন সম্ভোগ
মিথ হয়ে আকাশে ভাসুক, বাতাসের শরীরে
তোমার কামোন্মাদনা খোদাই হয়ে থাক
আইকনিক ভাস্কর্যের মতন।
ঘুরেফিরে আসুক পৃথিবীর সব মিলনের রাতে,
তোমার পায়ে কেন জৈবিক নোখ
ও নোখেরই দোষ, মূর্খ জানেনা
তুমি শরীরি নও তোমার জড়া বলে কিছু নেই।
ami ei kobitati download korte chai
ফুরকানবাবু আপনি ডাউনলোড করতে পারেন