মুখপুড়ি অবন্তিকা চুমু খেয়ে টিশু দিয়ে ঠোঁট পুঁছে নিলি ?
শ্বাসে ভ্যাপসা চোখের তলায় যুদ্ধচিহ্ণ এঁকে ডেথ মেটাল মাথা দোলাচ্ছিস
চামড়া জ্যাকেট উপচে লালনীল থঙ গলায় পেতল-বোতাম চোকার
ঝাপটাচ্ছিস সেকুইন গ্ল্যাম রকার খোলা চুল কোমরে বুলেট বেল্ট
বেশ বুঝতে পারছি তোকে গান ভর করেছে যেন রমণখেলা
স্ক্রিমিং আর চেঁচানি-গান তোর কার জন্য কিলিউ কিলিউ কিল
ইউ, লাভিউ লাভিউ লাভ ইউ কাঁসার ব্যাজ-পিন কব্জিবেল্ট
কুঁচকিতে হাত চাপড়ে আগুনের মধুর কথা বলছিস বারবার
আমি তো বোলতিবন্ধ থ, তুই কি কালচে ত্বকের সেই বাঙালি মেয়েটা ?
কোথায় লুকোলি হ্যাঁরে কৈশোরের ভিজেচুল রবীন্দ্রনাথের স্বরলিপি
কবে থেকে নব্বুই না শূন্য দশকে ঘটল তোর এই পালটিরূপ
পাইরেট বুট-পা দুদিকে রেখে ঝাবড়া চুলে হেড ব্যাং হেড ব্যাং হেড ব্যাং
ঝাঁকাচ্ছিস রঙিন পাথরমালা বুকের খাঁজেতে কাঁকড়া এঁকে
পাগলের অদৃশ্য মুকুট পরে দানব-ব্লেড বেজ গিটারে গাইছিস
বোলাও যেখানে চাই হাত দাও প্রেম-জন্তুকে অ্যানথ্র্যাক্স বিষে
মেরে ফ্যালো মেরে ফ্যালো মেরে ফ্যালো কিল হিম কিল হিম কিল
কিন্তু কাকে বলছিস তুই বাহুতে করোটি-উল্কি : আমাকে ?
নাকি আমাদের সবাইকে যারা তোকে লাই দিয়ে কোলেতে তুলেছে ?
যে-আলো দুঃস্বপ্নের আনন্দ ভেঙে জলের ফোঁটাকে চেরে
জাপটে ধরছিস তার ধাতব বুকের তাপ মাইকে নিংড়ে তুলে
ড্রামবিটে লুকোনো আগুনে শালি পুড়ছিস পোড়াচ্ছিস
দেয়াল-পাঁজিতে লিখে গিয়েছিলি ‘ফেরারি বাস্টার্ড লোক’
ভাঙাচোরা ফাটা বাক্যে লালা-শ্বাস ভাষার ভেতরে দীপ্ত
নিজেরই লেখা গানে মার্টিনা অ্যসটর নাকি ‘চরমশত্রু দল’-এ
অ্যনজেলা গস কিংবা ‘নাইট উইশ’-এর টারজা টুরম্যান
লিটা ফোর্ড, মরগ্যান ল্যানডার, অ্যামি লি’র বঙ্গীয় ক্লোন তুই
লালনীল বেগুনি লেজার আলো ঘুরেঘুরে বলেই চলেছে
তোরই প্রেমিককে কিল হিম লাভ হিম কিল হিম লাভ হিম লাভ
হিম আর ঝাঁকাচ্ছিস ঝাবড়া বাদামি চুল দোলাচ্ছিস উন্মত্ত দু’হাত…
[ কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন ঢাকা-নিবাসী রাজীব চৌধুরী http://www.youtube.com/watch/v=kZfAonJ5X9U ]