‘ এই যে আসুন , তারপর কি খবর?
আছেন তো ভালো ? ছেলেমেয়ে ?’ কিছু আলাপের পর
দেখিয়ে সফেদ দেয়ালের শান্ত ফটোগ্রাফটিকে
বললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে—
‘ এ আমার ছোট ছেলে , যে নেই এখন ,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর – তিনেক আগে কাক – ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।’
কি সহজে হয়ে গেল বলা ,
কাঁপলো না গলা
এতটুকু , বুক চিরে বেরুলো না দীর্ঘশ্বাস , চোখ ছলছল
করলো না এবং নিজের কণ্ঠস্বর শুনে
নিজেই চমকে উঠি , কি নিস্পৃহ , কেমন শীতল ।
তিনটি বছর মাত্র তিনটি বছর
কত ঊর্ণাজাল বুনে
কেটেছে , অথচ এরই মধ্যে বাজখাঁই
কেউ যেন আমার শোকের নদীটিকে কত দ্রুত রুক্ষ চর
করে দিলো। অতিথি বিদায় নিলে আবার দাঁড়াই
এসে ফটোগ্রাফটির মুখোমুখি প্রশ্নাকুল চোখে ,
ক্ষীয়মাণ শোকে ।
ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান
চেয়ে থাকে নিস্পলক , তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।
One thought on “একটি ফটোগ্রাফ”
Comments are closed.
ছোট্ট পাখি বললো এসে আমার কানে কানে, সূর্যি মামা উঠছে আবার নতুন কিছুর টানে, সুখে থেকো ভালো থেকো রেখো ভালোবেসে, মিষ্টি সকাল জানিয়ে দিলাম ছোট্ট এই এসএমএসে, শুভ সকাল