সেদিন ছিল শনিবার
আমার মনে ঘুংঘুর বেজে উঠল হঠাৎ
তুমি তাহলে নিশ্চয়ই আসছো ।
তুমি মেজেন্টা ভালোবাস, শাড়িতে সেই রঙ
তুমি বর্ষা দেখতে পাগল,তাই চোখের চার পাশে কাজল পরা মেঘ ।
বিছানা একটু নরম না হলে লাগবে
তাই আচলের ঘের কমিয়ে তুলতুলে দুটো বালিশ
এভাবে দ্বিকবিদ্বিক জেগে বসে
চাঁদ চলে গেল দখিনের পথে
তাঁর মুচকি হাসির ওড়নাটাকে আমার মাথায় ঘোমটার মতো পরিয়ে
জানি ভাঁজ পড়েছে তোমার ভুরুতে
ভাবছ তোমাকে কাছে টানার গরজে
এসব জেনো এলেবেলে বানানো কথার হাতছানি ।
আবার ভুল বুঝছো আমাকে
আমি যখন নিজেকে গড়ি ,তখন একই সঙ্গে গড়া হতে থাকে তোমার প্রতিমা ।
কি দিয়ে গড়ো তুমি আমাকে ?
অক্ষরে,ছন্দে,উপমায়,অলংকারে,সাদা কাগজে কালো কালির আঁচড়ে
কিন্তু তোমার মতো অমরত্বের তৃষ্ণায় আমি কাতর নই শুভংকর
আমি শুধু তোমাকেই চাই ,তুমি যেমন ঠিক তেমনই ।
তুমি বলবে”আমি যে বড়ো ভাঙা চোরা নন্দিনী ,আমি অসমাপ্ত পাণ্ডলিপির মতো কাঁটা ছেড়ায় জীর্ণ”
হোক না, সেই তুমিই আমার স্বপ্ন ।
তোমাকে ঈর্ষা করতে ইচ্ছে করে
নন্দিনী,কেন না এখনো তুমি কতো সরল রয়ে গেছ তুমি,
এখনো স্বপ্ন শব্দটাকে উচ্চারন করতে পারো কতো মমতা দিয়ে
যেন সত্যিই ওর অর্থ আছে কোনো …
যেন মন্ত্রের মতো ক্ষমতাবান …
অথচ নিজের খাঁ খাঁ মাঠের দৈন্যে যখন আমি দীর্ন
আমার রক্ত স্পন্দনের মধ্যে তুমিই নাচিয়ে দিয়েছিলে এই শব্দ
স্বপ্নের কথা উঠলেই নাড়ির ভিতর ঘুলিয়ে উঠে ঘৃনা
স্বপ্ন যে এত বেঈমান ,
সে যে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো কেবলই এক যুদ্ব থেকে আরেক যুদ্বের মারাত্বক রঙ্গমঞ্চে
আগে জানলে ওর ছায়ার আটচল্লিশ হাত দূর দিয়ে ,
ওর লাইসেন্স,পাসপোর্ট ,আইডেন্টিটি কার্ড সব কেটে ছিঁড়ে …
এ তুমি কার গলায় কথা বলছ শুভংকর ?
তোমার কি সন্দেহ হচ্ছে, কোন অপদেবতার।
আগে কখনো তোমার গলায় শুনিনি এমন নদীর পার ভাঙ্গার শব্দ …।
একটূ মন দিয়ে শুনলে বুঝতে
ওটা কোন ভাঙ্গা ভাঙ্গির শব্দ নয় ,ওটা ঝিল্লিরব ।