তিন শত পঁয়ষট্টি প্রদীপের নিচে
ছিল খুব কিমাকার আঁধার—
অনিবার্য আঁধারেরই প্রতিপত্তি ছিল পুরো
পরিসরজুড়ে!—জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা ছাড়া
বাকি তিন ভাগ জলে বৈদেশে বিরানে অবসিত।
—তবু কি সোয়াস্তি আছে? অস্বস্তিও সঙ্গে সঙ্গে গেছে!
এমন সুন্দর পটে কল্পনায়ও আলোর অভাব
থাকার কথা তো নয়—তবু ছিল, এ-ও বাস্তবতা;
‘মাৎস্যন্যায়’ কাকে বলে তুমি কি তা জানোনি অতীতে?
বিস্মৃতিপ্রবণ যদি, তবে, কী আর করার আছে!
সময় বা কাল যাবে—চলে যায় চৌদ্দ শ একুশ
গবাদি শাবক;—মাঙ্গলিক আসন্ন শাবকটিকে
তিন পুণ্য-নদীজলে ধুয়ে-মুছে তুলে নাও তবে
অন্তর্গত আপন আলোয় সুখময় গৃহকোণে।