কবি এই ত্রিভুবন
রাজনীড়ে নেই শস্যদানা,
শিরে তবু গোলাপের তাজঠোঁটে তার কষ্টবোঁটা,
দুই চোখে দুই ডানা আঁকা
ঘাসফড়িঙের খোঁজে ওড়ে তাও অগ্নিবলাকা
নিষিদ্ধ নিয়ম ভেঙে অনিয়ম যদিও নিয়তি
নিজেকে নিবৃত্ত করে অপরের ক্ষতিকরেনি তো,
বল্লম বুলেট নিয়ে ফরমান জারি
না করার অভিমানে নেই আহাজারি
কবির সম্বল শুধু ঘাসপাতালতা
কবিরও বরাদ্দ আছে আপন ক্ষমতা
যখন সে ক্রুদ্ধ চোখে রক্তাক্ত তাকায়
মানুষের শুদ্ধ বুকে টোকা পড়ে যায়
যখন সে লুব্ধ চোখে ঈষদুষ্ণ হাসে
প্রাণী আর নরনারী ত্রস্তে ভালোবাসে
যখন অধীর মুখে ফোটে গূঢ় কথা
কবিকে কুর্নিশ করে খোজা অমরতা
রাজদ- নেই তার, সত্যদ-ধর
অনিত্যের বুকে নিত্য গড়ে খেলাঘর
মানুষ নশ্বরচিত্ত, কবি অনশ্বর।