—————————————————♣
কাকতাড়ুয়ার মত আর কতকাল দাঁড়িয়ে থাকবো
– কে জানে!
রোদে পুড়ে জলে ভিজে চব্বিশ প্রহর
বিনিদ্র আগলে রাখি তোমার ফসল!
দু বাহু প্রসারিত চির উন্নত মম শির
অকুতোভয় দন্ডায়মান যেন সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী!
কে মানে কি না মানে
আমার আদেশ কিংবা উপদেশ –
থোড়াই পরোয়া করি!
শালিকেরা দু-দন্ড এসে বসে মাথায় কিংবা হাতে,
আয়েশে খেলা করে দূর্গা টুনটুনির দল,
কখনো দুরন্ত চড়ুইএর ঝাঁক
তটস্থ কিচিরমিচিরে মাতায় চারপাশ,
কখনো বা বায়স কুল বিষ্ঠা-চর্চিত করে তুলে সর্বাঙ্গ!
আমি রাজ্যের বিরক্তি চেপে চরম ধৈর্যে
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি অবিচল,
যা মাতৃভূমির জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত
একমাত্র দেশপ্রেমিকই পারে।
রাতের আঁধারে আসে নিঃসঙ্গ পেঁচা
নিশ্চুপ বসে থাকে একা
হঠাৎ ডেকে ওঠে গুরুগম্ভীর সুরে
নিঃশ্বাসে ঝেড়ে ফেলে বুকভরা দীর্ঘশ্বাস!
কখনো অবাঞ্ছিত মাতাল ইদুর
খুঁটে খুঁটে খায় পতিত শস্যকণা।
কখনো বা স্বার্থান্বেষী শেয়ালের দল
অযাচিতে মাড়িয়ে দেয় আবাদি জমিন।
আমি চীৎকার করে প্রতিবাদ করি
নিস্ফল আস্ফালনে প্রকম্পিত করি চরাচর
ঝেঁটিয়ে তাড়িয়ে দিতে চাই তাবৎ আপদ
– যা শুধু তোমাকে ভালোবাসি বলেই!
আমি হাল ছাড়ি না!
পরম মমতায় আগলে রাখি তোমার ফসল!
একান্ত বিশ্বস্ততায়
পাহাড়া দেই দিন-রাত।
আশায় বুক বেঁধে প্রতীক্ষায় থাকি –
একদিন উঠবে তোমার সোনালী ফসল,
ফুটবে হাসি তোমার মুখে
আর ভালোবেসে বলবে আমায়
‘তোমাকে ধন্যবাদ!’
– শুধু এটুকুই,
আর কিছু চাই না।
————————————–
– নিলয়♥
১৬ মে ২০১৮, ঢাকা
ওয়েবপেজঃ [email protected]
ছবিঃ সংগৃহীত।