ওপাড়ার রশীদ সাহেব,
জ্ঞানি গুনি মিষ্ট ভাষি,
কন্য তাহার রমা দেবি
রুপ ত নয় চারুশৈলি!
কদিন আগেও বলত সবে-
বয়স তাহার বছর কুড়ি
করো কাছে আরো কঁচি|
দুদিন হলো তার জুটেছে নবাব,
কুঁড়ি হবে না পঁচিশে ছুড়ি
সবাই জানে নবাবই দায়ি|
সাথে যখন থাকে নবাব,
রমা দেবীর সেই সেই ভাব|
অবয়বে নতুন কুড়ি,
হাতে নবাবের প্রনেয়ের বেড়ী|
এলাকার-
ছোড়াগুলোর বুকে তখন,
ভালবাসার বিলীন তপন|
দেখা হত প্রাতঃভ্রমনে
রমা অঙ্খে লহর খেলে,
যুবক হৃদয় চূর্ন করে|
তখনি-
ঘোরের হয় পূর্ন পতন
দেখে নবাবের রুক্ষ চাহন|
রমা যেন বদলে গেছে
নবাব পানে লাজুক হাঁসে,
তাও নাহয় এড়িয়ে গেলাম
ভেবে-
দেখি;দেখি কি করা যায়|
বোধ তখন কোথায় থাকে!?
লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে;
একে অন্যের বদন চুঁমে!!
হতচ্ছাড়া নবাব বেটা
ছন্দ মিলায়,
দুলিয়ে; এটা সেটা!
পাড়ার-
সাহসী সব তাগড়া যুবক
চুপসে যায় ভড়কে যায়
দেখে দেখে সরব নবাব|
(রশিদ সাহেবও তখন মলিন
বেশে বাসায় আসা শুরু করলেন কারন এলাকা কেমন ঝিমিয়ে গেছে কোনো যুবকেরই আগ্রহ দেখা যায় না তার বাজারের ব্যাগ বহনের)
এমনি কাটছিল না দিন
যাচ্ছিল শুধু রাত,
একে একে পটল তুলছিল যেন, যুবক সমাজ!
এরই মধ্যে একদিন হন্তদন্ত হয়ে রমা দেবী:
ক্লান্ত সে, ভারি বিমর্ষ!!
এসে আমায় সুধায়-
ভালোবাসাই তাহার একমাত্র সভাব,
সমস্তটা জুরেই ছিল সদ্য অসুস্থ নবাব|
রমা দেবীর অশ্রু ঝরে, ব্যথায় হৃদয় ভেঙ্গে পরে!!
আমি তখন হেকিম ডাকি, অসহায় রমার সহায় সজি|
রমা তখন প্রান পেল, কৃতার্থে আমার ঋণী হলো,
শুধু-
পুলক আমার সাঙ্খ হলো,
দুঃখটাও করা যাবে না মেজার,
ঠিক তখন-
হেকিম যখন রমাকে শুধায়:
“Your ‘DOG(নবাব)’ is now out of Denger “…..