ট্রাম্প এর বিজয়ে অনেক মুনির মতবাদ শুনলাম দেখলাম পড়লাম। ট্রাম্প যে জিতবে তা অনেকের কাছেই অকল্পনীয় ছিলো। আমার কাছে মনে হয়েছে ট্রাম্প এর পরিকল্পনা সবাইকে জানান দিতে পেড়েছে। হিলারীর প্রেসিডেন্ট হলে কি হবে তার কোন পরিকল্পনা কেউ জানেন কি ?
একটা সময় ছিলো যে সময় আমেরিকার জনগন ভাবতো “নেতার জীবন জাতির সম্পদ”। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে আর সে কারনেই ট্রাম্প এর নারী কেলেঙ্কারির বিষয়কে সামনে তুলেও কোন লাভ হয় নি। আমি এই নারী কেলেঙ্কারির ব্যাপার টা অন্য ভাবে দেখেছি। তা হচ্ছে মিঃ ক্লিন্টনের নারী কেলেঙ্কারিকে ছাপিয়ে যাবার জন্যই তা করা হয়েছে। আমি নিজেও ধোঁয়া তুলসী পাতা নই এমনকি আপনিও এরকম কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হতে পারেন। আমি নিজে মনে করি ট্রাম্প আমেরিকার জনগনের মনে দাগ কাটাতে পেরেছেন।
হিলারীর পরাজয়ের জন্য আমি ওবামাকেও দায়ী মনে করি। যে পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন তা একবার ভেবে দেখুন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে একজন জাতীয়তাবাদী। তিনি যে ইমিগ্রেন্ট, অর্থনীতি এমনকি সামরিক বিষয়ে যে সব কথা বলছেন যে যাই বলুক আমেরিকা যুক্তরাষ্টের ব্যাপক মানুষকে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন। মেক্সিকো সীমান্তে আমেরিকার সাধারণ মানুষের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়মিত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। Donald Trump কেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তার জবাব ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহনের পর তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেই আছে। দেখা যাক কি বলেছেন তিনি …
Politicians prospered – but the jobs left, and the factories closed.
……
We will no longer accept politicians who are all talk and no action – constantly complaining but never doing anything about it.
প্রচলিত রাজনীতিবিদদের প্রতি অনীহা-ই হচ্ছে ট্রাম্পের জয়ের মুল কারন। আমেরিকার মাত্র ৩৪%লোক মিডিয়াকে বিশ্বাস করেন ১৯৭৬ এ যা ছিলো ৭৩%।
নির্বাচনের আগে কোন জরিপেই ট্রাম্প হিলারীর তুলনায় এগিয়ে ছিলেন না। অর্থাৎ যে সব মিডিয়া এসব জরিপ চালিয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল না।
আমেরিকার সংবিধান আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে “প্রেসিডেনসিয়াল আদেশ” প্রদান করার ক্ষমতা দিয়েছে। অবশ্য সে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কিছু নিয়মও বেঁধে দিয়েছে।
১। জনগনকে বাধ্য বা পালন করার কোন নির্দেশ দিতে পারেন না। সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
২। সংবিধানের পরিপন্থী কোন আদেশ প্রদান করা যাবে না। (এই কারনেই ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের উপর প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়ে গেছে)।
৩। অর্থ ব্যয় হইবে এমন কোন নির্দেশ প্রদান করা যাবে না। (মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরীর ব্যয় ভার মেক্সিকোকে বহন করতে হবে, নির্বাচনী বক্তৃতায় ট্রাম্প বারবার এই কথা বলেছেন কারন এর সাথে অর্থ ব্যয়ের সম্পর্ক আছে)।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তার পুর্বসুরীর তুলনায় বেশী আদেশ প্রদান করেছেন? সংবাদ দেখে এমন মনে হলেও আসলে পরিসংখ্যান ভিন্ন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর বারাক ওবামা ২০ দিনে ২৯ টি প্রেসিডেন্টশিয়াল আদেশ দিয়েছেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ টি। এই হলো পরিসংখ্যান। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কি করবেন তার প্রতিশ্রুতি তিনি বারবার করেছেন নির্বাচনী বক্তৃতায়। সুতরাং নির্বাচিত হবার পর প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়িত্বও তাঁর উপর বর্তায়।
‘We will no longer accept politicians who are all talk and no action – constantly complaining but never doing anything about it.’
নিজের দেশের রাজনীতিবিদদের সৎ চরিত্র এখন তুলনা করলে মোটাদাগে বলে দিতে পারি, তাঁরাও আমাদের রাজনীতিকদের চাইতে কুট বুদ্ধিতে কোন অংশে কম নন।
শতরঞ্জি বা দাবা খেলার কৌশলী চাল … কোথাও ভিন্ন নয়। সর্বত্র এক। :)
ঠিক তাই। পি সি সরকারের একটা কবিতা আছে। খুব সুন্দর। ম্যাজিক
:) শুনলাম স্যার। সুন্দর আবৃতি।
অনেকের মতো আমিও ভেবেছি আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট দেখা যাবে। আমেরিকানরা অনেক বেশি কনজারভেটিব কিম্বা ধর্মভীরু তারা সেদিকে যায়নি।
কি আর করা ট্রাম্পই চালাক আমেরিকা। বেটা বেশী বাড়লে আদালত তাকে কিছুটা টেনে ধরতে পারবে বলে মনে হয়।
হিলারী ক্লিন্টনের পরাজয়ের সাথে ধর্ম বিশ্বাসের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে করি না।