বেশ অনেক বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের একটা সাক্ষাতকারের কথা মনে পড়ছে —
সত্যজিৎ রায় শান্তি নিকেতনে চারুকলা বিষয়ে পড়াশুনা করছিলেন। যখন কবি গুরু মারা গেলেন তখন সত্যজিৎ রায় চারুকলা পড়া ছেড়ে যাচ্ছেন শুনে শিক্ষক জানতে চাইলেন কেন চারুকলাতে গ্রাজুয়েশন না করে চলে যাচ্ছেন।
সত্যজিৎ রায় জবাব দিয়েছিলেন -আমি চারুকলাতে গ্রাজুয়েশন করলেও আমি তো ফাইন আর্টসে থাকবো না, কমার্শিয়াল আর্ট এ চলে যাবো। আর কমার্শিয়াল আর্টের জন্য যে টুকু ফাইন আর্ট দরকার তা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। … অনেকে ভাবতে পাড়েন আজ কেন এই কথাটি কেন মনে পড়লো।
স্কুলে বিনামূল্য বই বিতরণ আর বর্ণ শিক্ষা দেখে। যারা এসব বই লিখেন বা নীতিমালা তৈরী করেন উনাদের ছেলে মেয়েরা তো আর এসব পড়ে না। আমি একজন সচিব কে জানতাম যিনি ভাল করে বাংলাও বলতে পাড়তেন না।
আর এই কারনেই –“ব”তে বই না হয়ে বউ হয়ে যায়।
“ও” তে ওল না হয়ে ওড়না হয়ে যায়।
বুকের (Book) দিক থেকে নজর চলে গেছে …।
ফেসবুকে একটা হিন্দুধর্ম বই এর ছবি দেখলাম। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের বই এর প্রচ্ছদে এরকম ছবি থাকতেও পারে। যদি না থাকে ওরা আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। প্রাথমিক স্কুলের বইয়ের প্রচ্ছদে ট্রামের ছবি …………। ট্রাম্প ভাই আমেরিকাকে গ্রেট করার জন্য আমাদের প্রাথমিক স্কুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। আপনার ১৪ গুষ্টিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বানানোর এত চমৎকার পরিকল্পনা আর কোথাও পাবেন না।
যথার্থ বলেছেন।
শুভেচ্ছা রইলো
ঠিক কথা। কি লাভ হবে এতে
ভাবছি এখন থেকে আর বাংলায় কথা বলব না, বাংলা লিখবা না তাই আমরা সবাই ইংরাজ হয়ে যাব। কি মজা তাইনা?
আমরা নিজেদের বাংলা থেকে কেন দূরে সরে যাচ্ছি? কে কোন লাভের নেশায় এমনটা করছে? তাদের বিবেকে কি এতটুক বাঙ্গালিয়ানা নেই? এর পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ তা কে কবে বুঝবে? আর কেনইবা এদের দিয়ে এইসব নীতি নির্ধারনি কাজ করান হচ্ছে, দেশে কি যোগ্য মানুষের অভাব?
ধন্যবাদ।
গভীর ষড়যন্ত্র চলছে…
শুভেচ্ছা নিন।
যেমন চলছে দেশ চলতে দিন। রাত অন্ধকার শেষে দিনের আলো আসবেই স্যার।
হতাশার মাঝে আশার আলো কোন দিকে, খুঁজে মরি খুঁজে মরি!